এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া প্রতিনিধি// গত ২৬ জানুয়ারী বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের খানপাড়ার ইব্রাহিম খান এর স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২৬) এর ঝুলন্ত লাশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন এলাকাবাসী।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর তথ্যমতে দিঘলিয়া সরদ ইউনিয়নের পানিগাতী গ্রামের সলেমান বিশ্বাস এর কন্যা সোনিয়া বেগম(২৬) এর সাথে প্রায় আট বছর আগে দিঘলিয়ার খানপাড়ার ইসলাম খান এর ছেলে ইব্রাহিম খান এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।তাদের ঘরে ৭ বছরের একটি মেয়ে ও ৩ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।রাত আনুমানিক ১.৩০ টার সময় নিহতের স্বামীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ও পরিবারের অন্য লোকজন আসলে ইব্রাহিম খান জানান তার স্ত্রী ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি নিয়ে ঝুলে রয়েছে।এলাকাবাসী ও পরিবারের লোক তাৎক্ষণিকভাবে রশি কেটে নিচে নামালে সোনিয়াকে মৃত অবস্থায় পায়।পরে এলাকাবাসী দিঘলিয়া থানার খবর দিলে ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সোনিয়াকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
ঐ দিনই সোনিয়ার পিতা বাদীহয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন,দিঘলিয়া থানার মামলা নং-১১ তারিখ – ২৬/০১/২০২২ইং।পরে দিঘলিয়া থানাপুলিশ সোনিয়ার স্বামীকে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৭/০১/২২ইং তারিখে কোর্টে প্রেরন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কোর্ট-০২ নয়ন বিশ্বাস এর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ, অশান্তির জন্য স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে প্রথমে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাকরে গলায় রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত ইব্রাহিমকে জেলহাজতে প্রেরন করে।
Leave a Reply