এস.এম.শামীম দিঘলিয়া খুলনা// দিঘলিয়া থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে ও ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার এর প্রচেষ্টায় তিন দিন পর আসামি জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি বারাকপুর ইউনিয়নের বারাকপুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে ১১ বছরের এক কিশোরীকে তার প্রতিবেশী ৫০ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর শেখ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘটনার দিন রাতেই কিশোরীর বাবা থানায় হাজির হয়ে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরের দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত) ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় দিঘলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। মামলা নং ১৩। তাং ৩১/০১/২০২২।
উক্ত ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর গাজী পলাতক ছিলো।গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় গোপন সংবাদ ভিত্তিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিঘলিয়া থানা রিপন কুমার সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফুলতলা উপজেলার জামিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে দিঘলিয়া থানায় নিয়ে আসে।আজ বুধবার গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার বিজ্ঞ আদালতে তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিবে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তার স্ত্রী দর্জি এবং কাপড়ের ব্যবসা করার সুবাদে প্রতিবেশী মৃত মতি শেখের ছেলে আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ (৫০) তার স্ত্রীর জন্য বাকিতে কাপড় তৈরি করে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বকেয়া টাকা পরিশোধের দিন থাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ৬ টার দিকে বাদীর মেয়েকে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে টাকা আনতে পাঠায়। এ সময় জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে টাকা দেয়ার কথা বলে ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরনের কাপড় খুলে ফেলে। ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না।এ সময় কিশোরীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আওয়াজ পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী জাহাঙ্গীর ওই কিশোরীর হাতে পাওনা টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং হুমকি দিয়ে বলে- ‘এ বিষয় কাউকে যদি কিছু বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো’।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী বাড়িতে এসে বকেয়া টাকা তার মায়ের কাছে দিয়ে ঘটনার বিষয়ে খুলে বললে তারা নিরুপায় হয়ে নিকটাত্মীয়ের পরামর্শে ঘটনার দিন রাতেই স্ব-শরীরে দিঘলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মেয়েটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।