সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক গীতা রানী পালকে (৭২) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ১১ দিন পর শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসেছে। রাতে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানিয়েছেন, গীতা রানীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে। এইদিকে ঘরে ঢুকে দিনে-দুপুরে এই হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ ১১ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধারও হয়নি হত্যার পর লুটে নেওয়া নিহতের হাত, কান ও গলার স্বর্ণালঙ্কার। এই নিয়ে নিহতের পরিবারে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, পাশের রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ইং সালে অবসরে যান শিক্ষক গীতা রানী। তিনি স্বামী দীনেশ চন্দ্র পালকে নিয়ে রায়পুরের উত্তর কেরোয়া গ্রামের পাল বাড়িতে থাকতেন। দীনেশও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাদের এক ছেলে চাকরিজীবী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি খাবার শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঘরের দরজা খোলা রেখেই আলাদা রুমে গীতা রানী ও দীনেশ পাল ঘুমান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে দেখেন গীতার মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এই সময় তিনি ও আশপাশের লোকজন এসে দেখেন, গীতা রানীর হাত, কান ও গলায় থাকা স্বর্ণ নেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। এই ঘটনায় পরদিন (৯ ফেব্রুয়ারি) নিহতের ছেলে বিপ্লব বিহারি পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহতের ছেলে বিপ্লব বিহারি পাল বলেন, দিনদুপুরে আমার মাকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় মামলার পরও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শামছুল ইসলাম সামু বলেন, ধারণা করছি স্বর্ণের লোভেই গীতা রানীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর কারণে এলাকায়ও কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই ব্যাপারে শনিবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আশরাফ জুয়েল বলেন, হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।
Leave a Reply