রইস উদ্দিন,খুলনা // খুলনায় সিসি ক্যামেরায় বাইক চোরের ভিডিও ফুটেজ দেখা গেলেও ০৬ (ছয়) মাসেও ঐ চোর চক্রের একজনকে ও গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ এমনটি মন্তব্য করেছেন বাইক মালিক মোঃ শামিম হোসেন (৩১)।তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপুর কালিবাড়ী,সাং-৯/১, কেদারনাথ ক্রস রোড, মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র।
ভুক্তভোগী মোঃ শামিম হোসেন বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করি। চাকুরীর সুবিধার্থে কাগজপত্র সঠিক থাকায় ধারের টাকায় সেকেন্ডহ্যান্ড বাইকটি ক্রয়করি।কোম্পানীর কাজে আমি গত ০৭/০৯/২১ ইং তারিখে সময় আনুমানিক ১১:৩০ মিনিট থেকে ১১:৫০মিনিটের(বিশ মিনিট এর মধ্যে) সময় প্রান্তিকা আবাসিক এলাকায় ১২ নং রোডে আমার মোটরবাইক রেখে পাশে কোম্পানির কাজে ছিলাম কাজ শেষে ফিরে এসে দেখছি আমার মোটরবাইক টি যথাস্থানে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ পর পাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে চোরকে আমার বাইক নিতে দেখেতে পেয়ে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করি।গাড়িটি ফেরত পাওয়ার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে তাৎক্ষণিক খুলনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি যাহাতে উল্লেখ থাকে গাড়ির রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ল-২৬-৬৭৭৯,চ্যাসিস নং-MB8NG4BAG9102206, ইঞ্জিন নং-BGA1272074,সুজুকি জিকসার (নীল রঙে)। থানায় নিয়ম অনুযায়ী অত্র মামলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা প্রথমে গাড়িটি উদ্ধার করতে আমাকে আশ্বাস দেন কিন্তু আজ অবধি ০৬(ছয়) অতিবাহিত করলেও আমার বাইক উদ্ধারে কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি।শুধু আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস আমাকে ঘুরাচ্ছে।যখনি যোগাযোগ করার চেষ্টা করি তখনই বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।সিসি ক্যামেরার চোরচক্র সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য প্রমাণ কিছুই বের করতে পারছে না।এমতাবস্থায় আমি কেএমপি কমিশনার মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই।
বাংলাদেশ পুলিশ এখন অনেকটাই দক্ষ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়ে কাজ করছে। আমার বিশ্বাস যদি সঠিকভাবে তদন্ত করা হয় তবে আমার বাইকটি ফিরে পাবো।তাই আমার চুরি হওয়া বাইকটির ভিডিও ফুটেজ দেখে চোর চক্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি তাদের হাত থেকে বাইকটি ফিরে পেতে আপনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
Leave a Reply