খুলনার খবর// যশোরের চৌগাছায় যৌতুকের দাবিতে মুখে বিষ ঢেলে সাগরিকা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার (৫ মার্চ) ভোরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর হাসপাতালে সাগরিকার মরদেহ ফেলে স্বামী ও তার পরিবার পালিয়ে যায়। নিহত সাগরিকা চৌগাছা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের খোকন হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পিতা জানান, তিন বছর আগে খোকনের সঙ্গে মেয়ে সাগরিকার বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময় যৌতুক বাবদ ৭০ হাজার টাকা মালামাল দিই। গত দুই বছর যাবত ২ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে আসছিল। এই যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় সাগরিকাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী খোকন। এসব নিয়ে ৫ মাস আগে মেয়েকে আমাদের বাড়িতে এনে রেখছিলাম। সিদ্ধান্ত নিই তাকে আর খোকনের বাড়িতে পাঠাবো না। এরপর দুইপক্ষের মীমাংসার মাধ্যমে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই। তারপর থেকে মেয়ের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না।গত শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে খোকনের বোন রুপালি খাতুন আমাকে ফোন দিয়ে বলে সাগরিকা মারা গেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত করে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply