আল-হুদা মালী শ্যামনগর প্রতিনিধি// পশ্চিম সুন্দরবনের রায়মঙ্গল এলাকার অভায়রণ্যে মাছ শিকারের অভিযোগে ৬টি নৌকাসহ ১১জন জেলেকে আটকের পর ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি নৌকাসহ ৩ জেলেকে সি আরের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, বনবিভাগের বিরুদ্ধে জব্দকৃত মাছের অধিকাংশই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা গত (১লা মার্চ )মঙ্গলবার ৬টি নৌকাসহ ১১ জন জেলেকে আটক করে। তাদের আটকের পর নৌকা ও মাছসহ নটাবেকি টহল ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার আটককৃত জেলেদের মধ্যে ৮ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলেও ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি নৌকাসহ বাকি ৩ জেলেকে সি আরের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৫টি নৌকা নটাবেকি টহল ফাঁড়িতে রাখা হয়। আটক নৌকার মধ্যে গাবুরা অয়ন কোম্পানির ৩টি ও বুলবুল কোম্পানির ৩টি নৌকা ছিল।
নৌকায় থাকা জেলেদের দেওয়া তথ্য মতে, ৬টি নৌকায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ ছিল। ৮ জেলেকে ২ মণ মাছ দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়েছে। বাকি মাছ নিয়ে শুরু হয় বনবিভাগ সদস্যদের লুকোচুরি। মুন্সিগঞ্জ মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুর সাথে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চুক্তি করে (৫ই মার্চ) শনিবার রাত ১২টার সময় নটাবেকি বনবিভাগের সদস্য কামরুলের নেতৃত্বে আটককৃত মাছ বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয় মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ঘাটে। সেখানে মাছ কেনার জন্য ২ গ্রুপের ক্রেতাদের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। মাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমত ভ্যানও নিয়ে আসে তারা।
বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সরোজমিনে খেলা মেলে মুন্সীগঞ্জ ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ীর পল্টনে নটাবেকীর বোট আছে। সেখানে সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে সেই মাছ থাকা বোট ঘুরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে চলে যায় তারা।
মাছ ক্রেতা আসা মঞ্জু বলেন, কামরুল ইসলামের কাছ থেকে আমি অল্প কিছু মাছের পোটকা কিনেছি। সেগুলো আমার কাছে আছে। এছাড়া শনিবার সকালে বনবিভাগের কর্মী কামরুল ইসলাম ২ ককসিটে ও ১ বস্তা মাছ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা বাড়িতে যায় বলে জানা গেছে। বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের ম্যানেজও করেন তিনি।
এ বিষয়ে বনকর্মী কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের খাওয়ার মাছ আছে ১০-১২ টার মত।