সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার ১৯নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আন্দার মানিক আফজাল মিয়ার ব্রিক্স এঘটনা ঘটেছে। ইট ভাটার পাশে মুদি মালের ব্যাবসা করছিলেন আলতাফ হোসেন। এখান থেকে যা আয় হতো তা দিয়েই সংসার চলছিলো তার।
হঠাৎ চার পাশে মাটি ভরাট করে গুঁড়িয়ে দেয় দোকান, আলতাফের অভিযোগ এতে দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ১০দশ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বিলীন হয়ে যায় সচল সংসারের স্বপ্ন। জানা গেছে, আফজল হোসেন হাওলাদার লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ সদস্য এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেড় শতাধিক জনতা আফজল হোসেন ও তার ছেলে রুবেলে বিচারেে দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
দোকান মালিক আলতাফের স্ত্রী আলেয়া বেগম জানায়, আশা, গ্রামীণ, ব্র্যাক ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০বিশ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মুদি দোকান করেছেন। ব্যবসা করে প্রতি মাসে তিন এনজিও সংস্থাকে ২৩ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করা হতো। ১৫ লাখ টাকার মতো কাস্টমার থেকে পাওনা আছি।
তিনি বলেন, দোকান নেই, মাসে ২৩ হাজার টাকা কিস্তি কি করে দিবো? বাকি টাকা কাস্টমারের থেকে কিভাবে আদায় করবো? আমার পাঁচ সন্তান। ২দুই ছেলে ৩তিন মেয়ে। তাদের লেখা পড়ার বরণ পৌষণ কিভাবে চালাবো?
দোকানের মালামাল সরানোর সময় পর্যন্ত দেয়া হয়নি। মুহূর্তে মধ্যেই আমার সোনার সংসার ভেঙে গুড়িয়ে দেয়? আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন। আমি এখন কি করবো? কার কাছে যাবো? কে এ জালিমের বিচার করবে? এই বিষয়টি অস্বীকার করেন আফজাল মিয়া তিনি বলেন যার জমি তারা করতে পারে আমি কিছু জানিনা।
Leave a Reply