সোহেল,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের কর্মস্থল থেকে সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদাউস বাড়ি ফেরার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জান্নাতুল এক নামে তরুণীকে বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় ঘটেছে চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের স্বনামধন্য গ্রাম পুলিশ দুলাল হোসেন সহ ৪চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন,সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ দুলাল হোসেন, স্থানীয় কিশোর মো. রিপন, যুবক মো. নিজাম উদ্দিন ও খোরশেদ আলম। অভিযুক্তরা চররুহিতা গ্রামের বোবা কান্দি ও জনতাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তরুণী বাড়ি ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হন ওই জান্নাতুল ফেরদাউস নামে তরুণী। রাতেই অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত জান্নাতুল মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে রাতেই চররুহিতা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেহমুনী থেকে চররুহিতা কাঞ্চনীবাজার যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় ওঠেন ওই তরুণী। এর আগেই যাত্রী সেজে ওই অটোরিকশায় রিপন ও নিজাম বসে ছিলেন। অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীহাট সড়কের সরকারি মহিলা কলেজের নতুন ক্যাম্পাস এলাকায় পৌঁছালে তারা তরুণীকে শ্লীলতাহানি করেন।
জান্নাতুল ফেরদাউস চিৎকার দিলে তারা ওই জান্নাতুলকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেন। পরে তিনি অন্য একটি অটোরিকশা ব্যবস্থা যোগাযোগ করে বাড়ীতে চলে যান। সেখানে আগ থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নিজাম, খোরশেদ ও রিপন। ঘটনাস্থল জনতা বাজার এলাকায় পৌঁছলে তারা জান্নাতুলকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ফের মারধর ও জামা কাপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করেন। এই সময় স্বনামধন্য গ্রাম পুলিশ দুলাল ও অন্যদের সঙ্গে জড়িয়ে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানি করে।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল বাশার (সাবদুল) জানান, প্রথমে ফরহাদ পাটোয়ারী, মানিক, মনির সহ জনতা বাজার এডভোকেট এনামের অফিসে ১,৫০০০০/ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় পরে দুলাল ১,০০০০০/ এক লক্ষ টাকা দিতে শিকার হয়েছে।দুলালের বাবা-মা বলে আমার ছেলেকে অন্যভাবে জরিমানা করছে। দুলালের বাবা কোনো রকম রিকশা চালিয়ে সংসার চলে আমরা গরীব মানুষ এত টাকা দিতে পারব না এরপর পুলিশ দুলালকে থানায় নিয়ে যায় (ওসি) জসিম উদ্দিন
সহ তদন্ত অফিসার ৪০,০০০/ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই টাকা দিতে পারেনি দুলাল।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।