এস.এম.শামীম দিঘলিয়া,খুলনা // মাদ্রাসা উচ্ছেদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশমাত্র। মাদ্রাসার শিশু ছাত্র নির্যাতনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নিরব, মামলা নিতে অপরগতা প্রকাশ।
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধিন শিরোমণির মাদ্রাসা মারকাজুল মুসলিমিন এর হেফজ শাখার শিশু ছাত্র মেহেরান(১০)কে পার্শবর্তি মুন তালুকদার কর্তৃক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নিরব রয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করতে চাইলেও প্রশাসন বলছে এটা সাধারণ ডায়রী করা যাবে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও বিভিন্ন মহলের হুমকি ধমকি আর গুমের ভয়ে পরিবার এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরে এসেছেন বলে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান জানায়। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কন্ঠে মাদ্রাসাটি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মাছুম শিশু কোরাআনের হাফেজ হতে আসা মেহেরানের উপর হিংস্র বাঘের মতো ঝাপিয়ে পড়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিহৃত করেন।
গত ৪ এপ্রিল ২০২২ইং বেলা পৌনে ৩টায় মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ভিডিও গত ৬ এপ্রিল ২০২২ইং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় মাদ্রাসার সামনে দুই শিশু শিক্ষার্থী ফুটবল খেলা করছিল। পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় জনৈক মুন তালুকদারের পায়ে কোনরকম বলটি লাগার সাথে সাথে হিংস্র বাঘের মতো তেড়ে এসে মেহরান(১০) নামের এক ছাত্রকে জাপটে ধরে নির্যাতনের এক পর্যায়ে উচু করে আছাড় মারে। ছাত্রটি ভয়ে মাদ্রাসার অপর ছাত্রকে জাপটে ধরে কাপতে থাকে। নির্যাতনকারী মুন তালুকদার শিশু ছাত্রকে ছেড়ে দিয়ে তার দুই হাত ঝেড়ে হাতের ময়লা পরিষ্কার করে চলে যেতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান বলেন, ঘটনা শোনার পর মেহরানের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে নির্যাতনের কথা জানতে চাইলে মুন তালুকদার অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে জরুরি আইনি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে শুনে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ না করে চলে যায়। পরবর্তিতে খানজাহান আলী থানায় অভিযোগ করতে গেলে বিষয়টি মামলা নয় সাধারণ ডায়রী করার জন্য বলে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। মামলা করতে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসার পর মুন তালুকদারসহ বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি-ধমকি আসছে যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে ও তার পরিবার এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি করার। মাদ্রাসার প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী এবং পরিবারের নিরপত্তায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সাংবাদিকদের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন অধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, মামলা নয় ডায়রী করার জন্য বলে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখার কথা সঠিক নয়। মাদ্রসা বা ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।