1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণের! সাড়ে ৫ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার প্লাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভিড়ে, বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প যুবদলকর্মী সোহাগ হত্যায় প্রকৃত খুনিরা বাদ, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খুলনা বিএনপির ডুমুরিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে চোলাই মদসহ আটক ২ যশোর ঐতিহ্যবাহী কারবালা জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধন মোল্লাহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় “ভিজিডি (ভিডব্লিউবি)” নির্বাচনে লটারির মাধ্যমে উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেশবপুর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা আবাসিক হোটেলে যৌথ বাহিনীর অভিযান,বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবা’সহ আটক-১ সুন্দরবনে বনকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা,দুইজন আহত,জব্দকৃত মাছধরার নৌকা ছিনতাই বাগেরহাটে ডিবি পুলিশের অভিযানে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ১ প্রতিদিন ১ চামচ জামবিচির গুড়া খেলে যা হয়? জানলে অবাক হবেন যশোরে বন্ধুর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে : নার্গিস বেগম নৈশ প্রহরী ও কুকুরের গল্প | এক নৈশ প্রহরীর কুকুর সঙ্গী লিচুর থেকে কম নয় এই ফল | চাহিদা বেড়েছে কাঠলিচু বা পিচ ফল বা আশঁফলের অল্প জমিতে অধিক ফলন পেতে পালঞ্চিং পদ্ধতি ব্যবহার বাগেরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের‘জুলাই পদযাত্রা’অনুষ্ঠিত কয়রায় ২দিন ব্যাপী দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কেশবপুরে জলবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও-এর সময়োপযোগী পদক্ষেপে প্রশংসা

৩০ টাকার ডাব ঢাকায় ১০০ টাকা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৯২৩ বার শেয়ার হয়েছে

সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুরের ৫ পাঁচটি উপজেলায় নারকেলের আবাদ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় অন্তত ৩০ লাখ ৭৫ হাজার নারকেলগাছ রয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে নারকেলগাছ থেকে ডাব কিনে নেন। প্রতি বছর গরম ও রমজানের সময় ডাবের চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদার কারণে এখন গ্রামে প্রতিটি ডাব ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। সেই ডাব ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে খুচরা বাজারে দাম ওঠে গড়ে ১০০ টাকা। লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার বাজারের সঙ্গে ডাবের দামের ফারাক ৭০ টাকা।

স্থানীয় পাইকারদের দাবি, খুচরা বিক্রেতারা সবচেয়ে বেশি লাভ করেন। চার হাত ঘুরে ডাবের দাম তিন–চার গুণ বেড়ে যায়। ডাব ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত মৌসুমে ডাবের ফলন কম হয়। শীতের এক-দুই মাস পরে ডাবের ফলন বেশি হয়। টানা নভেম্বর মাস পর্যন্ত উৎপাদন হয়। তবে এবার তুলনামূলক ডাবের উৎপাদন কম। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পবিত্র রমজান মাসের বাড়তি চাহিদা।
দুই হাত ঘুরে ঢাকায়

গ্রামে ঘুরে ঘুরে ডাব ব্যবসায়ীরা গাছমালিকের কাছ থেকে কেনার পর নিয়ে গাছে উঠে কেটে নেন ডাব। তাঁরা ১০০ ডাব কেনেন ২দুই হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। সারা দিন ঘুরে ডাব কিনে গ্রামের সড়কের পাশে জড়ো করে রাখেন। পরে তাঁরা পাইকারের কাছে বিক্রি করেন ৪ হাজার টাকায়। পাইকারের লোকজন বিকেলে বা সন্ধ্যায় পিকআপ নিয়ে গ্রাম থেকে ডাব সংগ্রহ করে নেন। পরে পাইকার সব ডাব একত্র করে ট্রাকযোগে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন আড়তে পাঠান। আড়তদার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন।
এবার তুলনামূলক ডাবের উৎপাদন কম। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পবিত্র রমজান মাসের বাড়তি চাহিদা।

দীর্ঘ সময় ধরে ধরে ডাবের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন দালাল বাজার এলাকার পাইকার মো. নুরুজ্জামান ও শাহ আলম। তাঁরা জানান, পুরো জেলায় ৭০-৮০ জন ডাবের বড় পাইকার রয়েছেন। তাঁরা দাদন দিয়ে গ্রামের ডাব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডাব কেনেন। তাঁদের গড়ে প্রতি ডাবে ৮-১০ টাকা লাভ দিয়ে তাঁরা কেনেন। পরে ট্রাক ভাড়া করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। আড়তে দেওয়ার পর ট্রাকভাড়াসহ বিভিন্ন খরচের পর তাঁরা গড়ে প্রতি শ ডাবে পান ৪ হাজার ৫০০ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি ট্রাক ডাবে গড়ে ৪-৫ হাজার টাকা লাভ হয় তাঁদের। অনেক সময় বাজার খারাপ থাকলে লোকসানও হয়। তাঁদের দাবি, খুচরা বিক্রেতারা সবচেয়ে বেশি লাভ করেন। তাঁরা আরও জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে প্রতিদিন গড়ে শুধু ঢাকায় ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক ডাব পাঠান স্থানীয় পাইকাররা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ২০-২৫ ট্রাক ডাব পাঠানো হয় লক্ষ্মীপুর থেকে। প্রতি ট্রাকে ২দুই হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত ডাব থাকে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোহাইমেন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় ২দুই হাজার ৫৬৩ হেক্টর জমিতে নারকেল চাষ হচ্ছে। প্রতি শতাংশ জমিতে গড়ে ১২টি নারকেলগাছ থাকে। সে হিসাবে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদরে বেশি। এর পরের অবস্থান রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতি। গত বছর নারকেল উৎপাদন হয়েছিল ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। ঢাকায় ডাবের দাম চড়া ঢাকার হাজারীবাগ খলিল সর্দার কৃষি মার্কেটে লক্ষ্মীপুর ফল ভান্ডার নামে একটি আড়ত রয়েছে নুরুল আলম কবিরের। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তাঁর আড়তে আজ বৃহস্পতিবার ডাব বিক্রি হয়েছে গড়ে ৪৮ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি শ ডাব ৪ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ থেকে তিনি কমিশন পেয়েছেন। খুচরা বিক্রেতাদের ভ্যান ভাড়া, রাস্তায় বিভিন্ন খরচের পর প্রতি ডাবে আরও গড়ে ১০ টাকা খরচ হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রেতারা প্রতিটি ডাব বিক্রি করেন ১০০একশত টাকায়। প্রতি ডাবে গড়ে খুচরা বিক্রেতা লাভ করেন ২০বিশ থেকে ৪০ টাকা।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।