সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের সুপারি গাছের সঙ্গে পেছন দিক থেকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় মিলন হোসেন (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহের গলায় দড়ি পেঁচানো ছিল। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম, ছেলে মো. স্বপন, পূত্রবধূ নাজমা বেগম ও মেয়ে নিপুকে (১৮) থানায় নিয়েছে। নিহত মিলন দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতের কোনো একসময় দূর্বৃত্তরা বাড়ির পেছনেই গাছের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মিলনকে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ বাঁধা অবস্থায় রেখেই পালিয়ে যায়। সকালে বাড়ির লোকজন মিলনের মরদেহ দেখতে পায়।
স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের পাশেই ঘটনাটি ঘটেছে। এই জন্য পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।