1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
৬ দিন পর খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ কদরুল হাসানের দিঘলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নে বিএনপির নতুন কমিটি গঠন; মুস্তাক সভাপতি-ইউসুফ সাঃ সম্পাদক কেশবপুর নিউজ ক্লাবের মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে ইসলামী আন্দোলন এর গণসমাবেশ কয়রার খান সাহেব কোমরউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ আত্মগোপনে খুলনায় প্রশাসনকে সর্বত্র ঢেলে সাজিয়ে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে- খুলনা ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাটে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার মোংলায় বাজার মনিটরিং ও ৫৩’হাজার টাকা অর্থদন্ড বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ এমদাদ উল বারী বিটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান নওগাঁয় মানববন্ধনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ, চেয়ারম্যানের নিন্দা ও প্রতিবাদ শাপলার বহু গুণ; ঔষধিগুণে ভরপুর শাপলা খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু বাংলাদেশে চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ডিম আমদানি নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে কাজী এহসানুল কবীরের যোগদান সর্বত্র কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ন প্রস্তুতি নিতে হবে- মাওঃ আব্দুল আউয়াল নড়াইলে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত ১২ বছর পর ফিরে পেলো কেশবপুরে শহীদ জিয়া ছাত্রাবাসের নাম পলিথিন বন্ধে বিশেষ অভিযান ১অক্টোবর; নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ

কচুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেয়ে ২৩ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৭৬ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ মারুফ হোসেন,বাগেরহাট // আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে আরও ৩২ হাজার ৯০৪ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার।

আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এরি ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায় মুজিবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠান উৎসব মুখর পরিবেশে আনুষ্ঠিত হয়েছে।

কচুয়ায় এ প্রকল্পের আওতায় ২৩টি ঘর হস্তান্তর সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৩টি ঘরের মধ্যে রাড়িপাড়া ইউনিয়নের শিপপুর মৌজায় ৫টি, কচুয়া সদর ইউনিয়নের টেংরাখালীতে ১৮টি। এছাড়া নির্মিত ঘর ছাড়াও ২ শতক জমির দলিল রেজিষ্ট্রেশন ও নামজারী করার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বাড়ি হিসাবে দলিলসহ ঘরের চাবি গ্রহণ করেছেন ২৩ জন উপকারভোগী।

আজ সকাল ১০টায় কচুয়া শেখ তন্ময় মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহলের সভাপতিত্বে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন শিকদার ফিরোজ আহম্মেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তানিয়া নাজনিন, সাবরেজিস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সরকারি দপ্তরের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, রাজনৈতিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ, সহ আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভোগী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রæয়ারী তৎকালীন নোয়াখালী, বর্তমান লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবাওে নির্মমভাবে হত্যা করলে দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের এই জনবন্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক এ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেন।

সমাজের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্য শেখ হাসিনা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহন করেন এবং সেই বছরই সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে শুরু করেন ‘‘ আশ্রয়ণ প্রকল্প’’

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারী ২০২১ তারিখে জমির মালিকানাসহ ৬৬ ৬৬ হাজার ১শত ৮৯ পরিবারকে একক জমি ও গৃহ প্রদানসহ ৩৭১৫ পরিবারকে পুনর্বাসন করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে জুন ২০২১ তারিখে জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছেন। চলমান তৃতীয় পর্যায়ের আরও ৩২ হাজার ৯০৪ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার এ প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হল।

১.ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল আসহায় দরিদ্র জনগোষ্টীর পুনর্বাসন ২. প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা ৩. আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১. ইারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ ২. সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ৩. মানবসম্পদ উন্নয়ন ৪. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ৫. গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ ৬. পরিবেশ উন্নয়ন ৭. উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এই প্রকল্পের বিশেষত্ব।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী যৌথ মালিকানায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির সুবিধাসহ ২ শতক জমি ও একটি সেমিপাকা ঘরের মালিক হচ্ছেন। একই সাথে তাদেও স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

অনগ্রসহ ও ছিন্নমূল পুনর্বাসিত পরিবারসমূহ বসতভিটার আঙিনায় সবজি চাষ, পশুপালনসহ প্রকল্পের সংলগ্ন পুকুরে মৎস চাষ করছে। তাদেও উৎপাদনমুখী কাজের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হচ্ছে।

উপকারভোগীদেও জন্য সুপেয় পানি, আধুনিক স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে জমি ও ঘরের মালিকানা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রচলিত আইনি কাঠামোর আওতায় এসব জমি ও ঘওে তাদেও উত্তরাধিকারীদের স্বত্ব বহাল থাকছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রত্যেক একক গৃহের সাথে আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফলে নারী ও বালিকাসহ সকলের জন্য যথোপযুক্ত স্যানিটেশন নিশ্চিত হচ্ছে।

সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বেদে, হিজড়া (৩য় লিঙ্গ), জলবায়ু উদ্বাস্তু, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ২ শতক জমির মালিকানা প্রদান কওে তাদের সামাজিক মানমর্যাদা উন্নত করা হচ্ছে এবং তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে যেন সেমিপাকা দুর্যোগ সহনীন ঘর রক্ষা পায় সেজন্য বন্যা বিপৎসীমার উপর তুলনামুলক উঁচু স্থানে জানমালের সরক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।