1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেসিসির মেয়র দাবি করে ফের আলোচনায় মুশফিক মহানগর মহিলা দলের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা যশোর নগর বিএনপির বৈশাখী ফুটবল উৎসব চ্যাম্পিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি,  সোমবার আনন্দ মিছিল – হাসনাত মোংলায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দিঘলিয়ায় সেনহাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আ.লীগ নিষিদ্ধের ঘোষনায় খুলনায় বিপ্লবী ছা/ত্র জ/ন/তা/র – বিজয় উল্লাস উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা! বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা – হাসনাত খুলনা এজাক্স জুট মিল ঘাটে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ১ ঘণ্টার আল্টিমেটাম – হাসনাত ও শরিফ ওসমান এই মুহূর্তে জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ লক্ষ্মীপুরের ছাত্র হত্যা মামলায় আ.লীগের ২১জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার  স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে জামায়াত: ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের কয়রায় শিক্ষক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে কয়রায় বিএনপির যৌথ মতবিনিময় সভা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনা উত্তাল খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখল; ভিডিও করায় বিএনপি নেতা পরিচয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব‍্যবসায়ী সহ আটক ৩ 

৪ বছরে তেমন কোন আয় করতে পারেনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
  • ৭১৯ বার শেয়ার হয়েছে

সোহেল হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার //বাংলাদেশ গত ৪ বছর আগে ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স-এর নতুন প্রযুক্তির রকেট ফ্যালকন নাইনে করে যখন মহাকাশে প্রথম স্যাটেলাইটটি পাঠিয়েছিল।বাংলাদেশে তখন মহাকাশে পদচিহ্ন আঁকা এলিট দেশগুলোর ক্লাবে প্রবেশের গৌরব অর্জনের পাশাপাশি এটা থেকে অনেক আয় করারও স্বপ্ন দেখেছিল।

কিন্তু বিগত চার বছর পর এসে কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা কারণে উৎক্ষেপনের প্রথম তিন বছরে স্যাটেলাইটটি থেকে কোনো আয় করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে খরচ উঠে আসার যে প্রাথমিক হিসেব নিকেশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে এই খরচ উঠতে আরো বেশি সময় লাগবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তৈরি এবং উৎক্ষেপণে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। যা উৎক্ষেপণের সময় বলা হয়েছিল পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ইং সালের মধ্যে তুলে আনা সম্ভব হবে।

কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন,চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোনো আয় করতে পারিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা আয় করতে শুরু করছি।বছরে ঠিক কী পরিমাণ আয় হচ্ছে স্যাটেলাইট থেকে সে বিষয়ে তথ্য দেননি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তবে তিনি বলেছেন,এই মুহূর্তে স্যাটেলাইট থেকে যে আয় হয় এর পরিচালনা ব্যয় হিসেবে তার এক দশমাংশের চাইতেও কম খরচ হয়।টাকার অংকে সেটি কত সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।

সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে কর্তৃপক্ষ যা বলছে,দুই হাজার আঠারো সালের ১১ই মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে এই স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

কর্মকর্তারা বলছেন,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ছিল মহাকাশে বাংলাদেশের উপস্থিতি জানান দেয়ার মিশন।স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টিকে জাতীয় গৌরবের অংশ হিসেবেই দেখা হয়েছিল সেসময়।
যেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্যাটেলাইট তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করা হয়,তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।তবে স্যাটেলাইট থেকে আয় করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া এবং দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এটি যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের যে দাম এবং সরবরাহ ছিল, সেখানে অনেক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আর সে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ, যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
“এজন্য এখন আমরা দেশের ভেতরে নতুন বাজার মানে কাজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করছি, যাতে এটা লাভজনক করা যায়।” দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিবেশী অনেক দেশেরই এখন স্যাটেলাইট আছে,যে কারণে ব্যান্ডউইথের দাম এবং সেবায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।স্যাটেলাইট স্থাপনের সময় যেসব উদ্দেশ্য ছিল,তার মধ্যে প্রধান ছিল দেশের দুর্গম অঞ্চলে যেসব এলাকায় ফাইবার অপটিকাল কেবল নেয়া যায় না বলে টেলিফোন সার্ভিস বা ব্যান্ডউইথ দেয়া সম্ভব হয় না,সেসব জায়গায় টেলিযোগাযোগ স্থাপন করা।

তিনি জানিয়েছেন,ইতিমধ্যে দেশের ৩১টি দ্বীপে ১১২টি ভিস্যাট স্থাপন করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে।এই ছাড়া দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে এখন এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্রডকাস্ট সার্ভিস বা সেবা দেয়া হচ্ছে। দেশের ৩৩টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল যারা আগে বিদেশি স্যাটেলাইট থেকে ব্যান্ডউইথ নিত।২০১৯ইং সাল থেকে তারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নিচ্ছে।

সফলতার আরেকটি উদাহরণ হিসাবে মি.ইসলাম উল্লেখ করেন, “এই স্যাটেলাইটের পরিচালনায় এখন বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই শতভাগ কাজ করছে। এটা অনেক বড় অর্জন আমাদের, যেহেতু এক্ষেত্রে আমাদের জিরো নলেজ ছিল।”তবে, শুরুতে যেসব খাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ই-এডুকেশন, ই-লার্নিং, টেলি মেডিসিনের মত খাতে কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে কোভিডের কারণে দেশের প্রাধান্য ছিল মহামারি মোকাবেলা। সেকারণে এসব খাতে কাজ পিছিয়ে গেছে। কিন্তু টেলি মেডিসিন এবং শিক্ষা খাতে খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্লেষকেরা কী বলছেন,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানিয়া প্রকল্প হলেও সেটি আশানুরূপ সফলতার মুখ দেখেনি বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।
টেলিকম বিশেষজ্ঞ এবং লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইয়িদ খান মনে করেন, আর্থিকভাবে লাভজনক না হতে পারা এবং প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়াই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান ব্যর্থতা।তবে বাণিজ্যিক সফলতা বা অসফলতার চাইতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে জবাবদিহিতার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় না কেন? স্যাটেলাইট থেকে আমরা কত টাকা আয় করেছি, আমাদের অরবিট মানে কক্ষপথের ভাড়া কত, কিভাবে সে অর্থ আমরা পরিশোধ করি সেসব তথ্য কেন জানানো হয় না? এসব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা না থাকলে আর্থিকভাবে সফল হওয়া যাবে না।”এই ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে না পারাকেও বড় ব্যর্থতা বলেও মনে করেন আবু সাইয়িদ খান। তিনি মনে করেন, “স্যাটেলাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটি পরিচালনায় অভিজ্ঞ নেতৃত্বের অভাব,যারা খুঁজে বের করবে প্রতিযোগিতায় কেন ফেল করছি আমরা।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।