1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
ড. ইউনূসের প্রতি প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের অকুণ্ঠ সমর্থন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির মেয়াদ ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি ময়ূর নদের অবৈধ দখল উচ্ছেদে আইনি পদক্ষেপে (বাপা)’ র মতবিনিময় সভায় – জেলা প্রশাসক খুলনা নগরীতে হাত-পা বাধা অবস্থায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে, হত্যা মামলা দায়ের তেরখাদা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ৩০ মে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত তেরখাদায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার ওয়ার্ড দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতিপদক’ পাচ্ছেন কেশবপুরের সন্তান নাট্যকার ও কবি মুহম্মদ শফি শার্শায় কাভার্ড ভ‍্যানের ধাক্কায়  নিহত ১  আহত ২ নড়াইলে যৌথ বাহিনীর অভিযান মাদকসহ ৩ জন গ্রেফতার ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূল যখন ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের ভরসায়: রেমালের ক্ষতচিহ্নে আতঙ্কিত উপকূলবাসী বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে ‘শক্তি’র চোখ রাঙানি: ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ, আতঙ্কে উপকূলবাসী   মোল্লাহাটে ইজিবাইক চালক রায়হান হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন তেরখাদার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকদের সাথে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময় রোববার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সর্বদলীয় বৈঠক দিঘলিয়ায় মানব পাচার প্রতিরোধে ‎রেফারেল পাথওয়ে নেটওয়ার্ক সক্রিয়করণ সভা অনুষ্ঠিত দায়িত্ব পালন অসম্ভব হলে কারণ জনসমক্ষে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার কাজী নজরুল : এক অনন্ত প্রেরণার শব্দবন্ধ মধ্যরাতে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির বৈঠকে সম‌ঝোতা পদত্যাগ করছেন না প্রধান উপদেষ্টা: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছরেও মেলেনি ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৮ জুন, ২০২২
  • ৫০১ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ খায়রুল ইসলাম,পাইকগাছা প্রতিনিধি // খুলনার পাইকগাছায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,ভাষা সৈনিক পাইকগাছা-কয়রার কৃতি সন্তান সাবেক এমএনএ শহীদ এমএ গফুরের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।পৌরসভার সরল শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমএনএ শহীদ এমএ গফুরের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি,আলোচনা সভা,যোহরবাদ লোনাপানি কেন্দ্র মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং রাড়ুলী আল-হিরা এতিমখানায় খাবার বিতরণ ককরা হয়।সকল অনুষ্ঠান এমএ গফুরের জ্যৈষ্ঠ পুত্র পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা,ইন্সট্রাক্টর রিসোসসেন্টার মোঃ ঈমান উদ্দিন,সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,প্যানেল মেয়র এসএম তৈয়বুর রহমান ও কবিতা রানী দাশ, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক সেলিনা পারভিন,জগদীশ রায়, আরশাদ আলী বিশ্বাস প্রমূখ।স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশত বছর আর মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর অতিবাহিত হলেও মেলেনি ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুরের। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার পরও মেলেনি স্বাধীনতা পদক। হত্যার বিচার হয়নি আজও।তবে দেরিতে হলেও বর্তমান সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন শহীদ এম,এ গফুরের হত্যার বিচার,ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি ও স্বাধীনতা পদক পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন শহীদ এমএ গফুরের পরিবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট এ মহান নেতার হত্যার বিচারের দাবিতে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।উল্লেখ্য,খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার হরিনগর গ্রামে আলী সানার ঘরে বাংলা ১৩৩২ সালের ২৬শে বৈশাখ জন্ম নেন এমএ গফুর। মৌখালী খাসমহল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও ১৯৪৪ সালে আশাশুনির বুধহাটা স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে ভর্তি হন খুলনা বিএল কলেজে।যোগ দেন নয়া-সাংস্কৃতিক সংসদে।ভারত বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা আন্দোলন শুরু হলে ভাষা সংগ্রাম কমিটির খুলনা জেলা আহ্বায়কের দায়িত্ব পান তিনি।ছাত্র-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ ও করেন। আসেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বে।

১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)গঠিত হলে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।এগিয়ে যান রাজনৈতিক অঙ্গণে শীর্ষ পদে।নজরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের।১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর মনোনীত হয়ে পাইকগাছা আশাশুনি (বর্তমান কয়রা পাইকগাছা) হতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং মুসলিমলীগের প্রভাবশালী নেতা পাকিস্তান সরকারের যোগাযোগামন্ত্রী খান এ সবুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।উক্ত সংসদীয় আসনটি পাঁচটি মুসলিমলীগের বিজয়ী আসনের মধ্যে থাকলেও অকল্পনীয়ভাবে এম এ গফুরকে জয়ী করে মেম্বর অফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (এমএনএ) পদে বসান।এরই মধ্যে আসে স্বাধীনতার ডাক।ছাত্র-যুব সমাজকে নিয়ে গেরিলাযুদ্ধ শুরু করে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর আগ্রাসনকে প্রতিহত করে এলাকা করেন হানাদারমুক্ত। এম এন এ (এমপি)পদে থাকা কালীন সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাইকগাছার আলমতলা নামক স্থানে বেড়িবাঁধ উদ্বোধনে এসে তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি মন্ত্রীত্ত্ব না নিয়ে এলাকার উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখেন।১৯৭২ সালের ৫ জুন স্বাধীনতার মাত্র ছয় মাসের মাথায় পরাজিত ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।তার সফর সঙ্গী চাঁদখালীর রিয়াজউদ্দিন ও হড্ডার কামাল হোসেনও শহীদ হন। এ ঘটনায় ওই সময় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এই হত্যাকান্ডের আর বিচার হয়নি।সাবেক এমএনএ শহীদ এম এ গফুরের ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আমরা অবিলম্বে এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করি।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।