মুন্সী মোয়াজ্জেম,শালিখা থানা প্রতিনিধি// শালিখা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের পুলুম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ অনুষ্ঠানের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে লিগ্যাল এইড।লিগ্যাল এইড এমন একটি ধারনা যেখানে আমরা বুঝি,দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত,অধিকার বঞ্চিত,যেকোনো পেশার মানুষ যার আইনি সহায়তা প্রয়োজন।
কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই এধরনের মানুষকে রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বিনা মুল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া ১৯৯৭ সালে লিগ্যাল এইড কে আইনি কার্যক্রম করার প্রথম উদ্যোগ গ্রহন কর হয়।এবং ২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ লিগ্যাল এইড এ্যাক্ট আইনটি কার্যকর করে।বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এর জেলা প্রধান, জেলা জজ এর সম মর্যাদা পাবেন।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা,উপজেলা,এবং ইউনিয়ন পরিষদে যে ধরনের অভিযোগ গুলো আসে সে গুলোকে জেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া এবং লিগ্যাল এইড অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্র লিগ্যাল এইড ফান্ড এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে।সেগুলো হচ্ছে,আইনজীবী ফি প্রদান করা,বিনা মুল্যে সহি মোহোরকৃত আদেশের নকল প্রদান করা,এবং একই সাথে সি আর প্রদানকৃত বিজ্ঞাপন বিনামূল্যে প্রদান করা।
বালাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষের লিগ্যাল এইড সম্মন্ধে ধারনা নেই, এই সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই আজ মাগুরা জেলা লিগ্যাল এইড কর্তৃক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হালিম মোল্যা, প্রধান অতিথি হিসেবে মুল্যবান বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট জজ এম ডি ফরিদুজ্জামান।এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের জনসাধারণ, পরিষদের সব মেম্বার মহোদয়,পুলুম গোলাম ছরোয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাবর্গ।
এ সময়ে জজ সাহেব বিনা মূল্যে আইনি সব ধরনের সেবা,বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং সহ সব ধরনের সেবা বিনামূল্যে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।