1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শুধু কাগজে-কলমে যশোর শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান খুলনা জিরোপয়েন্টে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ইমান আলী গ্রেফতার লোহাগড়ায় পশু হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল ভ্যান চালকের স্বপ্ন !!! মোরেলগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের  মোংলায় ছায়া-অস্ত্রের এক ভয়াল প্রহসন! যুবদল নেতা রাহাত হোসেন মুন্নার ওপর বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে বেরিয়ে আাসছে কেসিসিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত মামা কতৃক ভাগ্নি কে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ মোরেলগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত, আহত ৩০ মোবাইল ফোন না দেওয়ায়  অভিমানে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আর জেএফ এর অর্থ সচিবের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত মোংলায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  বাগেরহাটে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা, সাংবাদিক মহলের ক্ষোভ সেরা সাতারুর খোঁজে বাংলাদেশ, খুলনায় ইয়েস কার্ড ৪৪ যশোরের শার্শায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত গাবুরায় লিডার্সের উদ্যোগে কিশোরী মেয়েদের ডিগনিটি কিট বিতরণ নতুন ষড়যন্ত্র রুখতে দেশ প্রেমিক সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার তাগিদ – নার্গিস বেগম খুলনা মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নড়াইলে‘কৃষকের অ্যাপস’বোঝেন না চাষীরা,সুফল আসছেনা ধান সংগ্রহে

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২
  • ৫২২ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি // গত ৩ বছর ধরে কৃষকের অ্যাপস’র মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সরকার ধান সংগ্রহ চলছে। কিন্তু স্থানীয় চাষিরা এ অ্যাপস বোঝেন না।

ধান সংগ্রহের কোনো তথ্যই নাকি প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছায় না। এতে কৃষকের ধান ব্যাপারীর মাধ্যমে যাচ্ছে সরকারি গুদামে। যে কারণে সরাসরি ধান সংগ্রহের কোনো সুবিধাই পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। সরকারিভাবে কৃষকের অ্যাপস’র মাধ্যমে লটারি করে নড়াইলে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয় গত ১২ মে। জেলা প্রশাসক, খাদ্য কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু স্থানীয় কৃষকরা এ অ্যাপস বোঝেন না। এমনকি কখন আবেদন করতে হবে, তাও জানেন না। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধান সংগ্রহের তথ্য না থাকায় কৃষকের আবাদ ব্যাপারীর মাধ্যমে গুদামে চলে যাচ্ছে।

নড়াইল সদরের ধোন্দা, কাগজীপাড়া কৃষি ক্লাব, লোহাগড়ার আমাদা এলাকা ঘুরেও চাষিদের কাছ থেকে কৃষকের অ্যাপস সম্পর্কে ভালো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কৃষকদের অ্যাপস না বোঝার সুযোগে তাদের নামে ব্যাপারীরা আগের কায়দায় ধান বিক্রি করছেন সরকারি গুদামের কাছে। যে কারণেই সরাসরি ধান সংগ্রহের সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক কৃষক। নড়াইল সদরের ধোন্দা কৃষি ক্লাবের সদস্য ইয়াকুব আলী, কৃষক আলী আহমেদ, আকবর শেখ জানেন না কবে এবং কীভাবে সরকারি গুদামে ধান দিতে হবে। সেলিম জাহাঙ্গীর নামে এক কৃষক  জানান, তার কাছে ১০০ মন ধান আছে। ধান দেওয়ার খবর পেলে দিতে পারতেন। কৃষক সাইফুল মোল্যা  বলেন, একজনের কাছে ২০ টাকা দিছিলাম নাম উঠানোর জন্য। সে বললো আমারটা হয় নাই। হের লেইগা হাটে ধান বেইচে দিসি। আমাদা গ্রামের আবুল হোসেন জানান, আমাগে একটা কার্ড দেবে বা বলবে কোন কায়দায় ধান দিতি হবে তাহলে তো আমরা দিতি পারবো? যারা আগে সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা আরও ভয়াবহ। প্রান্তিক কৃষকদের অভিযোগ খাদ্য-গুদামে নানা জটিলতার পরেও টাকা দিয়ে ধান বিক্রি করতে হয়।

সদর উপজেলার মুলিয়া কোড়গ্রামের কৃষক বনমালী বিশ্বাস জানান, গোডাউনে ধান দিতে গেলে তার অর্ধেক বাদ দেয় তারা। তিনি একবছর ৪২ কেজিতে মন হিসেব করে ধান দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ক্ষতি হয়। সরকারি গুদামে ধান দিতে হলে টাকা দিতে হবে কেন, প্রশ্ন করেন তিনি। কাগজীপাড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমানের অভিযোগ করে বলেন, ধান দিতি গেলি গুদামে লেবারের পয়সা দিতে হয়। তাছাড়া দুটো ফ্যানে ঝাড় দিয়ে অর্ধেক ধান ফেলে দেয়। নানা ফন্দি ফিকির করে। একবার ধান দিছিলাম আর দিতি যাই না।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে,চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। এজন্য লটারির মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৫ জন কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল শুরু হয়ে সংগ্রহ চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। বুধবার (১৫ জুন) পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫০৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় এ তিন ধরনের কৃষক নির্বাচিত করার কথা থাকলেও এবছর জনপ্রতি ৩ টন হিসেবে বড় কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক ধান সংগ্রহ থেকে বিরত রয়েছেন।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.রোকনুজ্জামান কৃষকের অ্যাপস’র প্রচারণায় দুর্বলতা স্বীকার করেন। তিনি  বলেন, ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ কাজে কৃষককে সহায়তা করছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অনির্বাণ ভদ্র ধান সংগ্রহ বিষয়ে বলেন, খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের যে প্যারামিটার রয়েছে সে অনুযায়ী ধান সংগ্রহ হয়। প্রচার প্রচারণা যেভাবে হয়েছে তাতে কৃষকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশাকরি লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে পূরণ হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।