পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের পাল পাড়ায় রবিবার (১৯ জুন) থেকে তিন দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্ঠান স্মরনিকায়ছিল,১৯ জুন রবিবার মঙ্গলঘট স্থাপন,শ্রীমদ্ভাগবত আলােচনা ও শুভ গন্ধাধিবাস।ভাগবত অমৃত পরিবেশনায় ছিলেন, ভাটপাড়ার প্রভূপাদ শ্রী রবীন্দ্রনাথ গোস্বামী।অধিবাস কীর্তন পরিবেশনায় ছিলেন,সাতক্ষীরার প্রভু জগবন্ধু সম্প্রদায়ের দলনেতা রনজিৎ পাল।
২০ জুন সোমবার অরুণােদয় হতে অষ্ট প্রহরব্যাপী অখন্ড শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তন।২১ জুন মঙ্গলবার প্রভাতে কুঞ্জভঙ্গ, নগরকীর্তন, মধ্যহ্নে মহাপ্রভূর ভোগ আরাধনা ও মহাপ্রভূর প্রসাদ বিতরণ। সেবাইত ভাটপাড়ার প্রভূপাদ শ্রী রবীন্দ্রনাথ গােস্বামী। রাতে যশোরের সুবোধ কুমারের পদাবলী কীর্তন।নাম সংকীর্তন সুধা পরিবেশনায় ছিলেন, খুলনার লক্ষী প্রিয়া সম্প্রদায়, কৃষ্ণ কিশাের সম্প্রদায়, মণিরামপুরের শ্রী গুরু সম্প্রদায়, সাতক্ষীরার শ্ৰী গৌরাঙ্গ সম্প্রদায় ও
জয় গােপাল সম্প্রদায়।
শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ পাদপদ্ম শরনম্, পরম শ্রদ্ধাভাজন ভক্ত সজ্জন, অশান্ত পৃথিবীর অশনি সংকেত শংকিত করে তুলেছে সবাইকে, হিংসা-বিদ্বেষ আর সংঘাতের প্রতিচ্ছবি সর্বত্রই, অধর্ম আর স্ব-সংস্কারের অনিশ্চিত অন্ধকারে নিমজ্জিত আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। তাই যন্ত্রণাক্লিষ্ট ও ত্রিতাপদগ্ধ এই অসহায় মানুষের উদ্ধারকল্পে মুক্তি দুতরূপে আবির্ভূত হয়ে মহাবতরী শ্রীশ্রী গৌরসুন্দর লীলাচ্ছলে বিলিছিলেন বিশ্বশান্তি ও মুক্তির মহামন্ত্র-শ্রীশ্রীতারকব্রক্ষ নাম সংকীর্তন। কলী অবতারের এই মহাপথকে পাথেয় করে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুস্তিয়া গ্রামের পালপাড়া গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে পঞ্চম বার্ষিকী অষ্ট প্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধিসহ মহানামের ভাবান্তরে ডুব দিয়ে তার মাহাত্ম উপলব্ধি পূর্বক নিজেদেরকে সার্থক ও কৃতার্থ করার জন্য সবাই মিলে পালনে অভিলাষী হয়েছেন কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া পালপাড়া গোবিন্দ মন্দিরের ভক্তবৃন্দ।
২০ জুন সোমবার অষ্ট প্রহরব্যাপী অখন্ড শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্তনে রাতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৫ নম্বর মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস। সফর সঙ্গী ছিলেন, ইউপি সদস্য মসলেম উদ্দীন সরদার, কনক রায়, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,মঙ্গলকোট ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বিশ্বাস, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার, কেশবপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ হালদার, বসুন্তিয়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার সরকার, সহ-সভাপতি বাসুদেব দাস, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার প্রদীপ কুমার দেবনাথ ও মিন্টু রায়, কোষাধ্যক্ষ উত্তম রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌতম হালদার, পরিবেশ সম্পাদক মনোতোষ মল্লিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক চন্দ্রশেখর মল্লিক, বিদ্যানন্দকাটি পূজা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, পাথরা পূজা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, সমাজ সেবক তুষার কান্তি মল্লিক, বসুন্তিয়া মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি ডাঃ শৈবাল কুমার রায়, বিদ্যানন্দকাটি মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র ঘোষ, বাবু কর, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ শিবপদ কুণ্ডু, ডাঃ দেবাশীষ শর্মা, স্বদেশ কুমার পাল, মাস্টার তরুন কুমার সরকার প্রমূখ।
মাদারীপুর থেকে এসেছিলেন সন্যাসী কৃষ্ণ দাস। এছাড়া কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কালীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার ভক্তবৃন্দ এ যজ্ঞানুষ্ঠানে এসেছিলেন।
যজ্ঞ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক পাল ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন পাল জানান, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস ও ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বিশ্বাস শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য কিছু আর্থিক অনুদান দেওয়ায় আমরা অত্যান্ত খুশি হয়েছি। ভক্তবৃন্দের আপ্যায়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।