এস,এম শামীম দিঘলিয়া // দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার সেনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী শেখ মনিরুজ্জামান (৪২) ও চন্দনীমহল এলাকার তুহিন গাজী (৩০) ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মনির সেনহাটি স্কুলের পিছনে বসবাসকারী মৃত শেখ ইসমাইল হোসেনের পুত্র এবং সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী এবং তুহিন গাজী মধ্য চন্দনীমহল এলাকার মৃত ইজু গাজীর পুত্র।
উল্লেখ্য মনিরুজ্জামান ওই বিদ্যালয়ের কর্মচারীর সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরীর আড়ালে বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাহিরে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট কেনাবেচা করে আসছিল।
এলাকাবাসী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত ২২ জুন রাত ১০ টার দিকে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী এর নির্দেশনায় দিঘলিয়া থানার ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার এর তত্বাবধানে এসআই আজিজ মাহমুদ, এএসআই নাসির উদ্দিন, এএসআই শাহিদুল ইসলাম, কনস্টবল গোলাম কিবরিয়া, নাজমুল হাসান ও আঃ রব মোল্লার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৫০ পিচ ইয়াবাসহ মনিরুজ্জামান ও তুহিন গাজীকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, আমি জেনেছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করেছেন। সে আমলে আনেনি বরং সে এ ব্যবসার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রাথমিক শাহনাজ বেগম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,সেনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী ওই বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিং কর্মচারি। যারা ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে আমার, ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে শোকজ করা হয়েছে। সে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এখন পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। আমি প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা করে মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বলেছি।
Leave a Reply