নিউজ ডেস্ক // দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে গতকাল (২৫জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলে দেয়া হলো স্বপ্নের পদ্মাসেতু গতকাল প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরসহ কিছু ভিআইপি গাড়ি পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে পাড়ি দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ২৬জুন সকাল ৬.০০টায় সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় পদ্মাসেতু।
আজ সকাল ৬.০০ টায় টোলপ্লাজা খুলে দেয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় আগে সেতুতে উঠে যাওয়ার চেষ্টা।তবে প্রথম প্রাইভেটকার হিসেবে পদ্মাসেতু দক্ষিণের জাজিরা টোল প্লাজা অতিক্রম করে গোপালগঞ্জের শেখ মোঃ রবিউলের গাড়িটি আর প্রথম যাত্রীবাহী বাস হিসেবে টাঙ্গাইলের ড্রাইভার মোঃ হানিফের চালানো খুলনা থেকে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস।
উচ্ছ্বসিত শেখ মোঃ রবিউল জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পরে আমি প্রথম টোল দিয়ে সেতু পার হচ্ছি অনুভুতিটা সত্যিই অন্যরকম বাস ড্রাইভার মোঃ হানিফ জানায়,বহু কষ্ট করে এই রুটে এতোদিন বাস চালিয়েছি।আজকে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে আমি প্রথমে বাস চালিয়ে যাচ্ছি,এর অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।খুলনা থেকে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটির একজন যাত্রী ইয়াসিন জানান,পদ্মাসেতু দিয়ে পার হওয়া প্রথম বাসের যাত্রী হিসেবে পদ্মাসেতু পারি দিতে পেরে তিনি অনেক আনন্দিত।
এদিকে প্রচুর মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য গাড়ির চাপে সেতুর উভয় প্রান্তে দীর্ঘ জ্যাম লক্ষ করা যায়তবে আগত গাড়ির যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই দল বেধে দূর-দূরান্ত থেকে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ঘুরে যাওয়ার জন্য এসেছে।দুই প্রান্তেই মোটরসাইকেল ছিলো চোখে পড়ার মত। তবে তাদের অধিকাংশই এসেছে শুধুমাত্র পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ঘুরতে।যশোর থেকে বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসা উৎস রায় জানায়
রাতে বন্ধুদের সাথে এসে পদ্মাসেতুর দক্ষিণ টোলপ্লাজার সামনে অপেক্ষা করছে শুধুমাত্র পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ঘুরবে বলে। দীর্ঘ জ্যাম ঠেলে টোল দিয়ে কোন রকমে টোল প্লাজা পার হলেই দেখা গিয়েছে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে আগত দর্শনার্থীরা।তবে টোলের পরিমান বেশি বলে অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ পথচারীরাই।তবুও খুশি স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে ঘুরে যেতে পারায়।
ব্রীজের উপরে দেখা যায় ভিন্ন এক চিত্র, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শত শত যাত্রীরা ব্রীজের উভয় লেনে রাস্তার দুই পারে গাড়ি থামিয়ে
অনেকেই ছবি তুলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সাথে।কেউবা চলন্তগাড়ি থেকেই ভিডিও করছে পদ্মাসেতুর উপরে। সেতুর উপরে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মত।পুলিশের একটি পেট্রোলটিম সাধারণ দর্শণার্থীদেরকে অনেক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।সর্বোপরি পদ্মাসেতু পেয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা জাতি, গোটা দেশ।দক্ষিণবঙ্গের মানুষের প্রাণের এই পদ্মাসেতু খুলে দিয়েছে দক্ষিণের উন্নয়নের দার।তাই খুশিতে সবাই বলছে,আমার টাকায় আমার সেতু,বাংলাদেশের পদ্মাসেতু।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।