1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
ফকিরহাটে বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন জোয়ারে নিমজ্জিত সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোংলা থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর লোহাগড়ায় পৈত্রিক জমি থেকে সাবেক মহিলা মেম্বারকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালীরা রামপালে স্কুল পড়ুয়া কিশরীকে গণধর্ষনের অভিযোগে ২ যুবক আটক শরণখোলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ; ধর্ষক কারাগারে ডুমুরিয়ায় তালার ইউপি সদস্যসহ ৪ চাঁদাবাজ আটক কয়রায় মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাইকগাছায় সাংবাদিক ফিরোজের শশুরের ইন্তেকাল, রিপোটার্স ইউনিটি’র শোক কৃষক কৃষাণীদের বন্ধু উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান অবশেষে মেরামত হলো বাঁশের ব্রিজটি মোংলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপিত ষাটগম্বুজ বায়তুশশরফ এতিম ও হেফজখানায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালন রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলায় “এমভি বসুন্ধরা ম্যাজিষ্ট্রি” পাইকগাছার কৃতিসন্তান রানা পারভেজের কৃতিত্ব ;মাস্টার্স সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিচারক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মোংলায় অটো ভ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা নিধন ; অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেই কোন পদক্ষেপ লোহাগড়ায় এতিমের সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র খুলনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস উদযাপন

কয়রায় সন্তানদের সামনে মাকে বিবস্ত্র অবস্থায় গাছে বেঁধে নির্যাতন

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২
  • ২৪৪ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর // খুলনার কয়রায় শামীমা নাসরিন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তার পুরো শরীরে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ও দুর্বৃত্তদের কামড়ের দাগ।

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিরা তাকে ঈদের পরদিন সকালে প্রকাশ্যে এমনভাবে অমানবিক নির্যাতন চালায় বলে জানা গেছে।

নির্যাতিতা শামীমা নাসরিন জানান, তিনি কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুপির মোড়ের গফ্ফার গাজীর মেয়ে। বাবার বাড়ির পাশে জায়গা কিনে সেখানে বসবাস করছেন। বাবার ২ বিঘা জমির উপর স্থানীয় লিয়াকত গাজী, সাখাওয়াত গাজী, নুর আলম গাজীসহ ওই পরিবারের অনেকের চোখ পড়ে। বাবা একা হওয়ায় প্রায়ই এ দলটি তার উপর অত্যাচার করে। এক বছর আগে একই রকম হামলার ঘটনা ঘটে। তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা তারা পরিশোধ করেনি।

ঈদের পরের দিন সোমবার সকালে লিয়াকত ও তার সহযোগিরা তার বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়। এসময় তারা ঘরের একটি চাল তৈরি করে নিয়ে আসে। বাবার বসত বাড়িতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে চায়। বাধা দেয় শামীমা সুলতানা ও তার ভাবী সালমা খাতুন। এসময় লিয়াকত এর সাথে থাকা খালেক ও আসফার গাজী শামীমাকে ঘর হতে টেনে বের করে নিয়ে আসে। এরপর রফিকুল, সালাউদ্দিন, সাইফুল, সোয়েব দড়ি দিয়ে গাছের সাথে তাকে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। লাঠি দিয়ে পেটানোর পর তারা সারা শরীরে কামড়ে ক্ষত বিক্ষত করে। জ্ঞান হারালে শামীমা নাসরিনের এক দুলাভাই ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

কয়রা থানার এসআই মাসুদ দড়ি খুলে তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলার জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে তার অবস্থা অবনতির হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে।

স্বামী আবুল কালাম সানা বলেন, ঘটনার সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা নেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর আগে একই ঘটনার জন্য সালিশ করেছেন। কিন্তু তারপরে তারা আবারও আক্রমণ করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংষর্ষ হয়েছে। ঘটনার সময় আমি এলাকার বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার সালিশ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এখন আর কেউ বিচার করতে যায় না। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। পুলিশ ভালো বলতে পারবে।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এ.বি.এম.এস দোহা বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।