1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
আগামীকাল খুলনায় আসছেন চরমোনাই পীর কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত কেশবপুরে ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সভা তীব্র তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ৭ দিন শ্যামনগরে এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা,আহত ১ লোহাগড়ায় ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী আটক রামপালে গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি আটক জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট কেশবপুরে ৭টি পূজা মন্ডপে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাবুরা মৃত্যু ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে সহায়তা চায় পুলিশ পাইকগাছায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত শার্শায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার বেনাপোলে সময় টিভির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী পাইকগাছার কপিলমুনিতে বাসন্তী পূজা উপলক্ষে ঢালী খেলা ও যাদু প্রদর্শনী বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় লবন পানি বন্ধের দাবীতে পথসভা ও লিফলেট বিতরন কেশবপুর থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিক পলাশ হত্যায় ২জনকে ২০ বছর কারাদণ্ড

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২
  • ২৩৪ বার শেয়ার হয়েছে

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুর তরুণ সাংবাদিক শাহ মনির পলাশ হত্যার ঘটনায় আসামি আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদের ১০দশ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১০দশ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন মামলার বাদী পলাশের বাবা মনিরুল ইসলামসহ পরিবার। তারা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে পলাশ মারা যান। এ হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ছিল না। এজন্য আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।দণ্ডপ্রাপ্ত ইউছুফ ও ছায়েদ সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে।

পলাশের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন,আমার ছেলেটাকে ইউছুফ ও ছায়েদ হত্যা করেছে। কিন্তু আমি যোগ্য বিচার পাইনি। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আমি উচ্চ আদালতে যাব।

পলাশের ভাবি শিল্পি আক্তার বলেন,৫ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আদালতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু রায়ে আমদের মন ভেঙে গেছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। জামিনে বের হয়ে আসামি ছায়েদ গত ৩ বছর ধরে আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

পলাশের বন্ধু আবদুল কাইয়ুম বলেন, পলাশের মৃত্যু অনেক কষ্টকর ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পলাশের মৃত্যুর সেই বিভিষীকাময় দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। কিন্তু রায় ততটুকু সন্তোষজনক হয়নি।

বাদীর আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন,এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্র জানা যায়, ২০১৮ইং সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পলাশদের বাগানের গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে তার দুই চাচাতো ভাই আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ। এনিয়ে ঝগড়ার শব্দ শুনে পলাশের ঘুম ভাঙে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখে তার বাবা মনিরকে ইট নিক্ষেপ করছে চাচাতো ভাইয়েরা। একপর্যায়ে তিনি ইটের আঘাতে মাটিতে পড়ে যান। ঘটনাটি দেখেই দৌঁড়ে গিয়ে বাবাকে মাটি থেকে তুলছিলো পলাশ। হঠাৎ পেছন থেকে রড দিয়ে পলাশের মাথায় আঘাত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। তাৎক্ষণিক তিনি অচেতন হয়ে যান। এরপরও তার বুকে রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে চাচাতো ভাইয়েরা। আঘাতে পলাশের মাথা না ফেটে ভেতরে রক্ত জমাট বেধে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি রক্ত বমি করলে তাকে নোয়াখালী হাসপাতালেও নেওয়া হয়। সেখান থেকেও চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা যাওয়ার পথে তিনি বেশ কয়েকবার রক্ত বমি করেন। অবশেষে পলাশকেঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করতে রাত হয়ে যায়। চিকিৎসক না থাকায় পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় অপারেশনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই সময়টুকু তিনি পাননি। এরআগে ভোরেই তিনি মারা যান। একইদিন সন্ধ্যায় পলাশের বাবা বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ইং সালের ২৪ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আবদুল আলিম আদালতে ইউছুফ ও ছায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১০ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।

প্রসঙ্গত, নিহত পলাশ সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলামের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ২৫ বছর। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। তরুণ এই সাংবাদিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।