পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর// সড়কে কুড়িয়ে পাওয়া প্রায় এক লাখ টাকা মূলের একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ফেরত দিলেন মোহাম্মাদ আব্দুল আলিম (৩৫) নামের এক ফেরিওয়ালা। মোহাম্মাদ আব্দুল আলিম ওই গ্রামের নওশের গাইনের ছেলে। যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বরণডালি গ্রামের স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই ক্যামেরার প্রকৃত মালিকে ফেরত দেন। মোহাম্মাদ আব্দুল আলিমের উপস্থিতিতে দৈনিক যশোর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও চ্যানেল এস এর কেশবপুর প্রতিনিধি আক্তার হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া দেন তারা।
আব্দুল আলিম বলেন,রবিবার দুপুরে বাজার থেকে পায়ে হেটে বাড়ি ফেরার পথে প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে সড়কে পাশে বসলে দেখেন সেখানে একটি ব্যাগ পড়ে আছে। ভয়ে তিনি না উঠায়ে সঙ্গে থাকা ভাইকে ব্যাগটি খুলে দেখতে বলেন। ব্যাগে ডিএসএলআর ক্যামেরা ও জিনিসপত্র ছিল। তখন তিনি বুঝতে পারেন এটি কোন সাংবাদিকের হবে।ওই সময় ব্যাগের ভেতর ভিডিডিং কার্ডে থাকা একটি মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ওই ফোন নম্বরটি ছিল চ্যানেল এস,এর সংবাদ উপস্থাপক খালেদ সামীরের । পরবর্তীতে চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিনিধিকে ক্যামেরাটি পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন।
আব্দুল আলিম আরও বলেন,‘ব্যাগটি দেখতে পেয়ে আমি প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ক্যামেরার প্রতি আমার এতটুকু লোভ হয়নি। মনে করেছি, ক্যামেরা আমার না। আমি এ ক্যামেরা লুকাই রাখতে পারিনা, সে কারণে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির কাউকে অবহিত করেছি।
আক্তার হোসেন বলেন,গত শনিবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ওই গ্রামে যান।সংবাদ সংগ্রহ শেষে ক্যামেরাটি ব্যাগসহ মটরসাইকেলের পেছনে ঝুলিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অসাবধানতাবশত ব্যাগটি গাড়ি থেকে সড়কে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।
আক্তার হোসেন আরও বলেন,‘ক্যামেরাটি ফেরত পাব এমন আশা আমি ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু একজন কসমেটিক্স ফেরিওয়ালা আব্দুল আলিম লোভ সংবরণ করে যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রবিবার দুপুরে বরণডালি গ্রামের স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ক্যামেরাটি আমাকে ফেরৎ দিয়েছেন। এটা আমি ভাবতেই পারছি না। তিনি বললেন,’সত্যিই পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে’।