পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরে বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় বহু বিতর্কিত কেশবপুর সার্জিকাল ও মাতৃমঙ্গল ক্লিনিক সিলড করা হয়েছে। রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের নের্তৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে কেশবপুর সার্জিকাল ও মাতৃমঙ্গল ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। এ সব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকতো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও ছিল না। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যারা ছিলেন তাদেরও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ তারা দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন। এসব অভিযোগে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান দু’টি বন্ধ করা হয়।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, ছয় মাস আগে এই সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানদের সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতো দিনেও তারা কোনো নিয়মের ভিতরে আসেনি। এসব কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক ৩৬ ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির থাকতে হবে। তিন-চারটি ছাড়া বলতে গেলে এসবের কিছুই নেই এ দুই ডায়াগনস্টিকে। অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এমন অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবেনা।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ আগস্ট) কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট গ্রামের শহীদুল্লাহর স্ত্রী সীমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সীমা খাতুনকে শণিবার (৬ আগষ্ট) পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সিজারকালে ভূমিষ্ঠ মা হারা কন্যা সন্তানটি সুস্থ আছে। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রোববারই অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ।