খুলনার খবর // নানা সংঘাত, সংঘর্ষ, প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলসহ নানা আইনি জটিলতা নিরসন করে দীর্ঘ ১১ বছর পর বহু কাঙ্খিত ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে ৯টি ওয়ার্ডের ৪৭ কেন্দ্রের ২৬৫টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন,কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এবারের নির্বাচনে  ৮২ হাজার ৬৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯।

এবারের নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ১৮ জন নির্বাহী ও ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের ৪৪০ জন স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৯টি মোবাইল টিম ও র‌্যাবের ৪টি মোবাইল টিমসহ ৪২৩জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।

শন্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এছাড়া সরাসরি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বিপিএম, পিপিএম(বার) ও জেলা নির্বাচন কমিশনার আব্দুস ছালেক।

উল্লেখ্য, এই পৌরসভার নির্বাচন সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে। কিন্তু কৌশল করে ২০১৫ সালে সীমানা জটিলতা নিয়ে বাদী হয়ে মামলা করেন পার্শ্ববর্তী সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনীত সমর্থকেরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় পৌরসভার নির্বাচন।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস মামলা দুইটির তদবির করায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে মামলা জটিলতা কেটে যায়।

এরপর নির্বাচন কমিশন পৌরসভার নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করে গত ২৫ এপ্রিল। গত ১৫ জুন দুইটি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভায় ভোট গ্রহনের তারিখ ছিল। এরই মধ্যে ১৫ জুন দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও পৌরসভায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আব্দুল খালেক হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থীতা ফিরে পান।

আইনী জটিলতার কারনে ১৫ জুন নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। সেই জটিলতা কাটলে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ঝিনাইদহে এক মত বিনিময় সভায় ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন।