1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
ফকিরহাটে বিশ্বকাপ দলে তামিম ইকবালকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন জোয়ারে নিমজ্জিত সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোংলা থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর লোহাগড়ায় পৈত্রিক জমি থেকে সাবেক মহিলা মেম্বারকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালীরা রামপালে স্কুল পড়ুয়া কিশরীকে গণধর্ষনের অভিযোগে ২ যুবক আটক শরণখোলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ; ধর্ষক কারাগারে ডুমুরিয়ায় তালার ইউপি সদস্যসহ ৪ চাঁদাবাজ আটক কয়রায় মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাইকগাছায় সাংবাদিক ফিরোজের শশুরের ইন্তেকাল, রিপোটার্স ইউনিটি’র শোক কৃষক কৃষাণীদের বন্ধু উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান অবশেষে মেরামত হলো বাঁশের ব্রিজটি মোংলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপিত ষাটগম্বুজ বায়তুশশরফ এতিম ও হেফজখানায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালন রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলায় “এমভি বসুন্ধরা ম্যাজিষ্ট্রি” পাইকগাছার কৃতিসন্তান রানা পারভেজের কৃতিত্ব ;মাস্টার্স সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিচারক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মোংলায় অটো ভ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু অবৈধ জাল দিয়ে মাছের পোনা নিধন ; অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেই কোন পদক্ষেপ লোহাগড়ায় এতিমের সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র খুলনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস উদযাপন

মা হারা ছোট্ট চার শিশুরা আজ বড় অসহায়

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১২১ বার শেয়ার হয়েছে

বার্তা ডেস্ক // ছোট ছোট এই ৪ শিশুর মা ঝর্ণা বিশ্বাস (৩০) এক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। প্রায় দেড় মাস আগে এমন এক দুপুরে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়।চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় সজল (১১) নানাভাবে ভুলিয়ে রাখতে চেষ্টা করে ১১ মাসের ছোট্ট সুমিকে। তবুও তার কান্না থামে না। এটা দেখে সুমিকে কোলে নিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে সাত বছরের স্বর্ণালি।এর মধ্যে ঘরে ঢুকে পাতিলের তলায় থাকা ভাত প্লেটে তোলে সাড়ে তিন বছরের নয়ন। মেঝে থেকে সেই ভাতের প্লেট নিয়ে খাটে ওঠে সে।সেখানে বসে বলতে থাকে,‘তক্কারি দে, আমালে তক্কারি দে।’অন্য পাশে বসা সজল তখন উঠে গিয়ে একটি পাতিল এনে দেয় নয়নের সামনে। কাঁচা পেঁপের ঝোলের নিরামিষ সেই তরকারি দিয়ে ভাত মাখিয়ে ছোট্ট সুমির মুখে তুলে দেয় নয়ন। তাদের বাবা সুদাস ব্রহ্ম (৩৬) তখন খাটের কোণে নির্বাক হয়ে বসা।বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে পাগলবাজার।সেখানে মূল রাস্তা থেকে ‍উত্তরে খালের পাশ দিয়ে দুটি ছোট সেতু পেরিয়ে রুইয়ারকুল গ্রামে সুদাস ব্রহ্মের বাড়ি।

গত রবিবার দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে এমন করুণ দৃশ্যের দেখা যায়।ছোট ছোট এই চার শিশুর মা ঝর্ণা বিশ্বাস (৩০) এক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। প্রায় দেড় মাস আগে এমন এক দুপুরে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে এই ছোট শিশুরা যেন একে অন্যকে দেখে রাখছে। নিজেরা রান্না করে, নিজেরাই বেড়ে খায়।ভাই-বোনদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বর্ণালি বলে, এই ভাত-তরকারি সবই রান্না করেছে তাদের বড় ভাই সজল। মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিল। তখন থেকেই বড় ভাই বাড়ির রান্নাসহ সবকিছু করে।মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাচ্চাগুলো খুব কষ্টে আছে জানিয়ে সুদাসের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তুলি বিশ্বাস বলেন,‘ঘর তো দেখিছেন। ঠিকমতো বেড়াও নাই। একটা ছোট চৌকি ছাড়া ঘরে আর কিছুই নাই।
স্থানীয় প্রবীণ মনিমোহন ব্রহ্মেরও মন পোড়ে পরিবারটির জন্য।

তিনি আরো বলেন,‘চারটে ছোট ছোট বাচ্চা। এগো রেহে তো সুদাসও কিছু করতি পাতিছে না। বাড়ির চারপাশে পুকুর-ঘের। ছেলে-মেয়ে কোনডা পানিতে পড়ে না কী অয়। এরা বাঁচবে ক্যামবেলে? সরকার যদি এ না দেহে। এগোর বাঁচার কোনো লাইন নেই।সুদাস ব্রহ্মের (৩৬) বসতবাড়ির তিন শতাংশ জমি ছাড়া কিছুই নেই। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে চলে তাঁর সংসার। স্ত্রী মারা যাওয়ায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের দেখাশোনা করতে হয়। ফলে সব দিন কাজেও যেতে পারেন না তিনি। তিনি বলেন,ছোট মেয়েডা সকাল থেকে খুব কানতিছে। তাই বাড়ি রইছি। এই থাকার জমিডু ছাড়া কোনো জমি- জায়গা নাই। পরের জমিতে মাছ ধরি, কাজ করি—এইভাবে কোনো রহমে চলতিলাম। হঠাৎ কইরে স্ত্রীর ক্যানসার হওয়ার পরেও ধার-দেনা করি চিকিৎসার চেষ্টা করিছি। বাঁচাতি তো আর পারি নেই। এখন এই ছেলে-মেয়েগুলোরে নিয়ে খুব অসহায়ের মইধ্যে আছি।’বড় ছেলে সজল ব্রহ্ম স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে স্কুলে অনিয়মিত সে। তিন মাস হলো সজলের লেখাপড়া এক প্রকার বন্ধ। এখন বাড়িতে রান্নাসহ অন্যান্য কাজ করতে হয় তাকে।খুব একটা কথা বলতে চায় না সজল। চোখেমুখে চিন্তার ভাঁজ নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। কয়েকটা প্রশ্ন করার পর সজল ব্রহ্ম বলে, ‘স্কুলে গেলি বাড়ি রানবে কেডা। ভাই–বুনগো দেখতি হয়। তাই স্কুলে যাই না।’স্বর্ণালি ব্রহ্মও স্কুলে যেত। প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।

তবে মা মারা যাওয়ার পর থেকে তারও এখন আর স্কুলে যাওয়া হয় না। স্কুলের কথা শুনে বিষণ্ণ স্বর্ণালির চোখেমুখে হাসি ফুটে ওঠে। সে বলে, স্কুলেও যেতে ইচ্ছা করলেও পারে না। ভাই–বোনদের সঙ্গে থাকে। থালা-বাসন ধোয়াসহ টুকটাক কাজ করে সংসারের।অভাব-দারিদ্র্য থাকলেও বাচ্চাদের কারও কাছে দিতে চান না সুদাস ব্রহ্ম। কথায় কথায় বলেন,‘ওগোর মা তো নাই। এহন আমারই পালতি হবে। তবে ওগোর অন্য যায়গায় আমি দিমু না।’খবর পেয়ে শনিবার সুদাস ব্রহ্মের বাড়িতে যান চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা।

এ সময় তিনি শিশুখাদ্য, চালসহ কিছু আর্থিক সহায়তা দেন। আগামীতে পরিবারটিকে একটি ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন,পরিবারটির জন্য কিছু সহায়তা নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ভিজিডি কার্ডসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।