খুলনার খবর // বৃষ্টি মৌসুমের মধ্যে অনাবৃষ্টির পর গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষনে আবাদি জমিসহ ডোবা ও নালাগুলো পানিতে ভরে উঠেছে। এতে নড়াইলের আমন ধান ও পাট চাষীরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।
মুষলধারে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জমি তৈরীসহ আমনের চারা রোপণে যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা, তেমনি পাট কেটে জাগ দেওয়াটাও অনেক সহজ হয়ে পড়েছে চাষিদের জন্য।
জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির অভাবে ইতোপূর্বে রোপণকৃত আমনের চারা প্রায় শুকিয়ে যেতে চলেছিল। কিন্তু টানা বর্ষণে সেগুলো যেন আবার নতুন জীবন পেতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছেন মাঠে।
চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলতি বছর আমন মৌসুম শুরুর পর থেকে গত কয়েক মাস যাবত অনাবৃষ্টির ছিল। এ কারণে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল আমন ধান চাষিরা পানি সংকটে জমি তৈরীসহ চারা রোপণ করতে এবং পাট চাষিরা পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। জমিতে রোপণ করা ধানের চারাও শুকিয়ে যেতে শুরু করেছিল।হঠাৎ বৃষ্টির ফলে সেগুলো এখন নতুন জীবন পেতে শুরু করেছে। মৌসুম শেষ হলেও গত তিন দিনের বর্ষণে ওইসব জমিতে পানি জমায় এবং ডোবা-নালা পানিতে ভরে যাওয়ায় কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন।
কালিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,কালিয়ায় ২৬ হাজার ৪৩৫ হেক্টর আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে। চলতি বছর ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে সেচ সুবিধা বর্হিভূত জমির পরিমান প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমি। আর ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন করা হয়েছে।