পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা দেবালয়ে বালিয়াডাঙ্গা সাধারণ পরিষদ ও ভক্তবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় ৪ দিন ব্যাপী হরিকথা আস্বাদন ও ৬৪ মহন্তের ভোগরাগ ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে শেষ হয়েছে।

১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মহাপ্রভুর ভাগবত সেবাসংঘের আয়োজনে কেশবপুর কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী ছিল গুরু মহারাজের শুভাগমন গুরুপূজা আরতি ও গুরুবৈষ্ণবের মধ্যাহ্নকালিন সেবা,রাতে ভাগবত কথামৃত আলোচনা।

১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কড়িয়াখালী অজয়কৃষ্ণ দাসের পরিবেশনায় ছিল ভজন কীর্তণে হরিকথা পরিবেশন, গৌর আরতি, জগন্নাথের আরতি ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।

১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গুরুবন্ধনা, বৈষ্ণব বন্ধনা গুরুমহারাজের সাথে বালিয়াডাঙ্গা দেবালয়ে ভক্ত ও শিষ্যবৃন্দের সাক্ষাৎলাভ, শিক্ষা গ্রহণ। জগন্নাথের ভোগআরতি ও গুরুবৈষ্ণবের সেবা, ভজন কীর্তন, হরিকথা, ৬৪ মহন্তের ভোগরাগের শুভ অধিবাস ও মহাপ্রসাদ বিতরণ অধিবাস কীর্তন পরিচালনায় করেন মাগুরার চিন্ময় আনন্দদাস বাবাজী মহারাজ। হরিকথামৃত পরিবেশন করেন অনন্ত শ্রী বিভূষিত গৌরকথা সম্রাট পরম পুজ্যপাদ রাধাকুন্ডুবাসী অভূতপূর্ব পন্ডিত ১০৮ ভারতের রাধাকুন্ডু বিন্দাবনের শ্রী বৈষ্ণব পদদাস বাবাজী মহারাজ।

১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার গৌরজাগরণ ও মঙ্গল আরতি গুরুমহারাজকে সঙ্গে নিয়ে চৌদ্দমাদল ও সাতদল সংযুক্ত করে বালিয়াডাঙ্গা কালিবাড়ী হয়ে দেবালয় পর্যন্ত নগর সংকীর্ত্তণ, ভজন কীর্তণ, হরিকথামৃত পরিবেশন, দুপুরে ৬৪ মহন্তের ভোগরাগ আরম্ভ ও মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। কেশবপুর বালিয়াডাঙ্গা দেবালয়ের সেবক শ্রী অপরূপ গৌরকিশোর দাস বাবাজী (অনন্তলীলা) সকল ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বালিয়াডাঙ্গা সার্বজনীন দেবালয়ের সভাপতি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের মাননীয় ট্রাস্টি শ্রী শ্যামল সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেশবপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, পঙ্কজ দাস, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, কোষাধ্যক্ষ কনক সেন, কেশবপুর সদর ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন মুখার্জি, কেশবপুর কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ, মদন সাহা অপু, তন্ময় মিত্র বাপ্পি প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।