1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
শরণখোলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্লাস চলমান থাকবে শ‌নিবা‌রেও লোহাগড়ায় খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট দিঘলিয়ায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা বটিয়াঘাটা উপজেলা বাদাবন সংঘের অবহিত করন কর্মসূচি সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে বৃষ্টিপ্রার্থনায় মুসল্লিদের ইসতিসকার নামাজ আদায় কেশবপুরে ট্রাকের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, হেলপার নিহত, চালক গ্রেফতার ফের খুলনা অঞ্চলে তাপমাত্রা ছাড়ালো ৪২ ডিগ্রি কেশবপুরে স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শার্শায় স্মার্টফোনে ব‍্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ,সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় ভ্যানচালক ও তাঁর মায়ের মৃত্যু নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি  ২৭ এপ্রিল যশোরে বিভাগীয় সভা সফল করতে খুলনায় সুজনের সভা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ কেশবপুরে দুই মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার-৩ পথচারীদের খাবার স্যালাইন ও পানি দিলেন মেয়র শেখ আ: রহমান বাগেরহাটে গভীর রাতে লাগা আগুনে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই

দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটে পাকা ঘাট সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৭২ বার শেয়ার হয়েছে

এস.এম.শামীম দিঘলিয়া,( খুলনা) প্রতিনিধি//
দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাটের পাকা ঘাট সংস্কারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের পূর্ব পারে ও পশ্চিম পারে দুইটি পাকাঘাটই ভেঙ্গে ও স্টেপগুলো সমান হয়ে যাওয়াসহ পূর্ব ঘাটে ট্রলার থামাতে না পারার কারণে পারাপার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। যে কারণে খুলনা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট এবং দুই পারের পাকা ঘাট মেরামতের জন্য ৫ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ঘাটটি মেরামতের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। উক্ত খেয়াঘাটের মেরামতের কার্যাদেশ পায় খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান ট্রেডার্স।

মেসার্স জামান ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ঘাট মেরামতে চরম অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধমে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা খরচ না করে যেনতেনভাবে ঘাটের পশ্চিম পারের পাকা জেটিটির সংস্কার কাজ করেছেন।

বিজ্ঞমহলের অভিমত ঘাটে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকী টাকা জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম ও ঠিকাদার (জামান ট্রেডার্সের মালিক) আত্নসাৎ করেছেন।
উক্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করার আগে ঘাট বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখে। পারাপারের ট্রলার বাজার ঘাটে পার হয়।

ঠিকাদার ঘাট সংস্কারে পাথরের পরিবর্তে ইটের নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে। এবং সিমেন্ট কম ব্যবহার করার দরুণ ঢালাই শক্ত বা টেকসই হয়নি। যে কারণে ঘাটের ঢালাই কাজ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পানিতে পড়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে নানুষের দুর্ভোগ আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মালামাল নামানে আরো কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাল, আটা, ময়দা, ডাল, গবাদী পশু ও হাস-মুরগীর খাবার পারাপারের সময় বস্তা ছিড়ে মালামাল বিনষ্ট হচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ঘাট মেরামতের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ এনে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পারাপার যাত্রীসহ ঘাট মাঝিদের। জনগণের পারাপারে দুর্ভোগ লাঘব করার নামে সরকারি অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ আশু তদন্তের দাবী সর্বস্তরের মানুষের।

এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়ার ফরমাইশখানা গ্রামের শেখ ফরহাদ হোসেনের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘাটের ঠিকাদার ও খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা যোগসাজশে ভোগিজোগি কাজ করে সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়ার সুগন্ধী গ্রামের তরুণ সমাজ সেবক মোল্লা মাকসুদুল ইসলামের সাথে।  তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে জানান, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি হয়েছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে একটা মহলের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবকে পুঁজি করে রীতিমতো ফায়দা লুটার প্রতিযোগিতা।

দিঘলিয়া উপজেলা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মিছিলের উপদেষ্টা দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরীন ময়না ও আলোর মিছিলের বলিষ্ট নেতৃত্ব ও সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রাজিব এ প্রতিবেদককে জানান, দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট হয়েছে মুলতঃ  এ দিঘলিয়া জনপদের মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ।

অপর দিকে এ ঘাটকে কেন্দ্র করে একটা মহলের হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম। জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে আমরা সর্বমহলে স্মারকলিপি দিয়ে স্থানীয়ভাবে মানববন্ধনসহ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

এদিকে দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটির জনদুর্ভোগ ও সম্প্রতি ঠিকাদারের খেয়াঘাট সংস্কার নিয়ে কথা হয় দেয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতিকুল ইসলামের সাথে। তিনি দেয়াড়া-দৌলতপুর ঘাট সংস্কারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, মেসার্স জামান ট্রেডার্স খুলনা জেলা পরিষদ থেকে কাজের অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রথমে দিঘলিয়ার দেয়াড়া পারে পাকা ঘাটের দুই সাইডে ভেঙ্গে রড বের করে মাটির নিচ থেকে পিলার ঢালাই দেয়। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম স্যারকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জানালে তিনি দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট সংস্কার কাজের ঠিকাদারের কাছে স্টিমেট দেখাতে বললে উক্ত ঠিকাদার কাজের স্টিমেট না দেখিয়ে ঢালাই পিলারগুলো ভেঙ্গে ব্যবহৃত রড তুলে নিয়ে যায়।তিনি ক্ষমতসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে।

উল্লেখ্য দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের ঠিকাদার, মাঝি ও ইজারাদারদের বিরুদ্ধে পারাপার যাত্রীদের পারাপার ও নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও বর্তমান ঠিকাদার ও ইজারাদার মিলে পারপার যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।