পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলো জেলা পরিষদের নির্বাচন। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিরতিহীনভাবে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রিজাইডিং অফিসা স্বাক্ষরিত সূত্রে জানা যায়,চেয়ারম্যান পদে সাইফুজ্জামান পিকুল (ঘোড়া) ৯৬ ভোট পেয়ে ৮ নম্বর কেশবপুর কেন্দ্র থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মারুফ হাসান কাজল (আনারস) পেয়েছেন ৫৯ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে তাসরিন সুলতানা (ফুটবল) ৮৫ ভোট পেয়ে ৮ নম্বর কেশবপুর কেন্দ্র থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাদিরা বেগম (মাইক) পেয়েছেন ৪৪ ভোট। অন্য প্রার্থী রুকসানা ইয়াসমীন পান্না (দোয়াত-কলম) পেয়েছন ২৮ ভোট।

সাধারণ সদস্য পদে মোঃ আজিজুল ইসলাম (হাতি) ৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সোহরাব হোসেন (তালা) পেয়েছেন ৫৩ ভোট। অন্যান্য প্রার্থী এস, এম, মহব্বত হোসেন (অটোরিক্সা) ২৩, মোঃ সাঈদুর রহমান (টিউবওয়েল) ১৯, জাকির হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা) ০৪, মোঃ মাসুদুজ্জামান (উট পাখি) ০১ এবং নজরুল ইসলাম খাঁন (ঘুড়ি) ০০ ভোট পেয়েছেন।

১৭ই অক্টোবর-২২ সোমবার জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কেশবপুর থেকে ৭ জন(পুরুষ) প্রার্থী অংশগ্রহন করেছেন এবং সংরক্ষিত(কেশবপুর-মনিরামপুর)থেকে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে জেলা পরিষদের ভোট ইভিএমএ অনুষ্ঠিত হয়েছে।একটি পৌরসভা ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়াম্যান ও নারী-পুরুষ মেম্বর-সহ ১৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।পুরুষ ভোটার ১২২ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩৭ জন।
কেশবপুর উপজেলা থেকে শুধুমাত্র এক জন পুরুষ প্রার্থী জেলা পরিষদে সাধারণ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আজিজুল ইসলাম। তার বিজয়ে গোটা উপজেলা ব্যাপি আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে।

কেশবপুর থানা পুলিশ নিরপেক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পেরেছেন।