পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // নির্মলভাব প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতা ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচীর মধ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অস্থায়ী শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আকতার সাদেক,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম জিল্লুর রশীদ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু তপন কুমার ঘোষ মন্টু,উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি,গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল,সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সজীব সাহা,উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সায়ফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা সমবায় অফিসার নাসিমা খাতুন,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলোক কুমার সিকদার,উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এস এম মাসসেদুর রহমান,উপজেলা রিসোর্ট সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ দাশ,উপজেলা তথ্য সহকারি প্রোগ্রামার মোঃ আব্দুস সামাদ-সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শিশুদের চিত্রাংকন, রচনা, আবৃত্তি ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রাসেল এর জীবনী নিয়ে লেখা বই ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কাল রাতে ঘাতকদের ঘৃণ্য আঘাতে নির্মমভাবে নিহত স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁদের শিশু পুত্র শেখ রাসেল-সহ বঙ্গবন্ধু’র স্বপরিবারে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।