1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
লোহাগড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে কৃষকদলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “ইসকন” নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজত ইসলামের সংবাদ সম্মেলন রামপালে বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুয়েটের নয়া উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম খুলনার কয়রায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে করাতকল ও স’ মিল তেরখাদায় রাসু্‌ল(সাঃ)ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তৌহিদ জনতার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত কেশবপুরে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করার অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা জন ভোগান্তির শীর্ষে ঝিকরগাছা পৌরসভা প্রশাসক দায়িত্বে থাকলেও সর্বদা চেয়ার শূন্য দীর্ঘ ১৫ বছর পর খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সন্মেলন আজ খুলনায় জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দুটোই এখন মরণ ফাঁদ, ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসী নাজিমের হাতে হামলার শিকার হন প্রবাসী রাকিব শার্শায় ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক বাগেরহাটে সরকারি আইন সহায়তা বিষয়ক উঠান বৈঠক দিঘলিয়ায় মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের প্রশিক্ষণ বটিয়াঘাটা উপজেলায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন কয়রায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইলের মধুমতী সেতু হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে মাঝিরা, কালনা ঘাটে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৮৯ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,লোহাগড়া প্রতিনিধি // তকদীর মোল্লা (৫৬) প্রায় ৪০ বছর ধরে নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর কালনা ঘাটে নৌকা পারাপর করে আসছিলেন। বাপ-দাদার পেশাও ছিল এটি। সম্প্রতি মধুমতী সেতু চালু হওয়ায় তকদীরসহ আরও অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। এখন সংসার কীভাবে চালাবেন, তা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।

লোহাগড়ার চরকালনা গ্রামের বাসিন্দা তকদীর মোল্লা। রবিবার বিকেলে তিনি তাঁর পুরোনো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটির ইঞ্জিন খুলে ফেলেছেন। নৌকাটি তিনি ভেঙে ফেলবেন। নৌকার কাঠ জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করার কথা ভাবছেন। তকদীর মোল্লা বলেন, নৌকা পারাপার করে খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন তাঁর ৮০০-১০০০ টাকা থাকত। এর ওপর চলত সংসার। চার ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করছে। এখন ভাবছেন সংসার চালাতে কার্গো জাহাজে চাকরিতে যাবেন।
সুরুজ মোল্লার (৫৫) নেই জমিজমা। তিনিও প্রায় ৩৫ বছর ধরে নৌকা পারাপারের পেশায় ছিলেন। তাঁর ছয় সদস্যের সংসার চালানো নিয়ে এখন দিশাহারা। কী করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। নাসির মোল্লা (৩৪) ঘাটে নৌকার পাশে মলিনমুখে বসে ছিলেন। শিশুকাল থেকে নৌকা চালিয়ে সংসারের খরচ জোগান দিতেন তিনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন শঙ্কায় পড়েছেন। একই অবস্থা বাদশা মিয়ার, তবিবর রহমান ও ওবায়দুর শেখসহ অন্যদের।

ঘাট এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ অক্টোবর মধুমতী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে তাঁরা বেকার হয়ে পড়েছেন। যাঁদের পুরোনো নৌকা ছিল,তা ভেঙে ফেলছেন। অন্য নৌকাগুলো সারি সারি ঘাটে বাঁধা। যুগ যুগ ধরে এ পেশায় তাঁদের পরিবারের লোকজন। এর অধিকাংশই মধুমতী নদীর ঘাট এলাকার দুই পারের বাসিন্দা। এ ঘাটে ৪৮টি নৌকা সার্বক্ষণিক নৌকা পারাপারে নিয়োজিত ছিল। এ পেশায় জড়িত ছিলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন।

নৌকায় শুধু ঘাট পারাপারের কাজেই নয়, নদীতে বিনোদনের জন্য বা বনভোজন করতে অনেকে ভাড়া নিতেন। প্রশাসনও কাজে লাগাত এসব নৌকা। সেতু হওয়ায় এখন এ পেশা ছাড়তে হচ্ছে তাঁদের।

বাদশা মিয়া ও তবিবর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানালেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা গত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম যেদিন এ ঘাট দিয়ে নড়াইল এসেছিলেন, সেদিন লাখো জনতা ঘাটে অপেক্ষা করছিল। মাশরাফি ও তাঁর সঙ্গীদের তাঁরা নৌকায় করে পার করে দিয়েছিলেন। এখন তাঁর কাছে ও সরকারের কাছে দাবি, মধুমতী সেতুর নিচে অনেক জায়গা, এখানে একটি সুন্দর পার্ক (বিনোদন কেন্দ্র) স্থাপন করা হোক। তাহলে ঘাটের নৌকার শ্রমিক ও ক্ষুদ্র দোকানিরা বেঁচে থাকতে পারবেন।

ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন মধুমতী সেতু চালুর পর থেকে লোকজন সেখানে আসছেন। ভবিষ্যতেও মানুষ সেতুটি দেখতে আসবেন। সেখানে পার্ক থাকলে এলাকার গরিব মানুষের নানাভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা আরও জানান, সেতুর পাশে ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে খাবার হোটেল, মুদিদোকান ও চায়ের দোকানসহ ৫২টি ক্ষুদ্র দোকান গড়ে উঠেছিল। এখন অধিকাংশ দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে।

যুবক হাবিল মোল্লা চা,পান ও বিস্কুট বিক্রি করতেন। এর ওপরই চলত তাঁর সংসার। খাবার হোটেল চালাতেন বাবলু শেখ (৪২)। তাঁর হোটেলও সেতু উদ্বোধনের পর থেকে বন্ধ আছে।বাবলু শেখ বলেন,সেতুর নিচে ও পাশে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের ভালো পরিবেশ আছে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলে তাঁদের মতো বেকার হয়ে পড়া মানুষের একটা উপায় হতো। এলাকার মানুষও বিনোদন সুবিধা পেত।

এর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন,ঘাট-সংলগ্ন কালনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। সেটি হলে ঘাট এলাকার মানুষের নানাভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ধীরে ধীরে বিনোদন কেন্দ্রও গড়ে উঠবে।

নৌকা শ্রমিকেরা জানালেন,মধুমতী সেতু উদ্বোধনের পর রাতে মাশরাফি বিন মুর্তজা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। তখন নৌকা শ্রমিকেরা সেতুতে তাঁকে আটকিয়ে তাঁর কাছে কর্মসংস্থান ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানান। মাশরাফি বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।