পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও উদযাপন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা।মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাথরা কর্মকারপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পার্শ্ববর্তী আলতাপোল বারইপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির ও মনিশংকর দাঁ-এর বাড়িতে শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ৩ দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো এ পূজা।

১ নভেম্বর মঙ্গলবার অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আমন্ত্রণ, ২ নভেম্বর বুধবার সপ্তম্যাদিকল্পে নবমীবিহিত দেবীর পূজো, অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মায়েদের সিঁদুর খেলা ও সন্ধ্যা আরতি হয়েছে।

শুক্রবার আরতি প্রতিযোগিতা, খেলাধূলা, পুরস্কার বিতরণ ও সর্বশেষ দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তির দেবী শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজোর সমাপ্তি ঘটে।

শুক্রবার আলতাপোল বারইপাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়,ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এ,কে,এম রেজওয়ানুর রহমান (টিপু), মহিলা মেম্বর রেহেনা পিরোজ, কেশবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশুতোষ কুমার হালদার,আলতপোল সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি সন্তোষ দেবনাথ, আলতপোল বারইপাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী জগধাত্রী পূজা মন্দিরের সভাপতি বিশুদেব হোড়, সহ-সভাপতি সাধন পাল, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দাঁ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী দাঁ, ক্যাশিয়ার সাগর সেন, পাশাপাশি পারিবারিক শ্রী শ্রী জগধাত্রী পূজা মন্দিরের সভাপতি মনিশংকর দাঁ,মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনিন্দ সেন,ছাত্র দীপব্রত সেন,বসুন্তিয়া গ্রামের ছবিতা রাণী পালসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পাথরা কর্মকার পাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী জগধাত্রী পূজা মন্দিরের সভাপতি অরবিন্দু রায় ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, তিন দিন যাবৎ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে কিন্তু শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জনসহ আরতি প্রতিযোগিতা, খেলাধূলা, পুরস্কার বিতরণ প্রতি বছর হয়ে থাকে। গত তিন বছর করোনাকালীন সময়ে বাচ্চা- কাচ্চারা পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি তাই এবার তারা একটু বেশি আনন্দ উপভোগ করবে।