শরিফুল ইসলাম // বেসরকারি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সে হিসাবে প্রতি কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ১০৮.০৯ টাকা।ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এলপি গ্যাসের নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল।সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সিলিন্ডারের দামও আনুপাতিক হারে বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, নভেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ভ্যাটসহ ১ হাজার ২৫১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। তার আগের মাসে যা ছিল ১২০০ টাকা।
বিশ্বে অর্থনীতির এখন যে সংকট, তা বাংলাদেশের একার নয়। প্রায় এক দশক ধরে দেশে মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে একধরনের স্বস্তি ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সরকারি হিসাবে যতটুকু মূল্যস্ফীতি বলা হচ্ছে, মানুষকে তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যস্ফীতির ভার নিতে হচ্ছে। প্রায় সব দেশই এ সংকট নিজেদের মতো করে সমাধানের পথ খুঁজছে। নিত্য পণ্যের পাশাপাশি জ্বালানির দাম বাড়াতে তার সার্বিক প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়তে শুরু করেছে জনগণের উপরে।
মূল্যস্ফীতি ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার দুর্ভোগ কিংবা শিল্পের উৎপাদন কমে যাওয়া কোন কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের দাবি, ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কর কাঠামোতে পরিবর্তন, সিস্টেম লস আর দুর্নীতি কমালে ভর্তুকি সমন্বয় সম্ভব। কিন্তু সেপথে না হেঁটে সরাসরি গ্যাসের দাম বাড়ানোতে শঙ্কিত সাধারণ মানুষও।