1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন বাগেরহাটে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক-২ অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে যা বল‌লেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি‌নি‌ধি রাতুল কেশবপুর কৃষক দলের সাথে কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ-এর মতবিনিময় বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল কেশবপুরে কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক;রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ কেশবপুরে জলাবদ্ধ ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ আওয়ামী শাসনামলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে- শেখ নাসির উদ্দিন বটিয়াঘাটায় একসঙ্গে ৩৩ জনের জামায়াত ইসলামীতে যোগদান ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না- মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভয়নগরে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন খুলনায় ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী পালন নওগাঁয় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মাটির ঘর ধ্বসে দিশেহারা সহিলের পরিবার জমির বিরোধে মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন মোবাইল চোরকে অসুবিধায় ফেলতে গুগল নিয়ে আসছে নতুন ফিচার কেশবপুরে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার সাংবাদিককে না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর বাগেরহাটে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৫৭ বার শেয়ার হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি // আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ্ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাকহানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চুড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এদিন প্রত্যূষে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে জীবননগর, দত্তনগর, হাসাদহ সন্তোষপুর,রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী প্রচন্ড যুদ্ধ।

এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সন্মুখ সমরে শাহাদৎ বরন করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়।

এ সময় জীবননগর থানায় ফেলে যাওয়া পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন নারী ধর্ষণকারী ও অমানুষিক নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত মুনছুর আলীর ব্যবহৃত জিপ গাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আগুন ধরিয়ে দেয় এবং থানার মালখানা থেকে উদ্ধার করে পাশবিক নির্যাতনের পর সদ্য হত্যা করা ৭/৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর লাশ। অপরদিকে জেলার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাক বাহিনীর উপর গেরিলা আক্রমন শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রæ মুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়।

এর আগে ৫ আগষ্ট সন্মুখ সমরে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে শাহাদৎ বরন করেন মুক্তিপাগল আট তরুন- তারেক, হাসান, আফাজ উদ্দীন, খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল, রওশান ও কিয়ামুদ্দিন।

এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাক বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখি মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়।

এরপর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়। এ দিন স্বতঃস্ফুর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম উত্তোলন করে লাল-সবুজ খোচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকান্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়।

দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত করে এ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। চুয়াডাঙ্গায় মোট মুক্তিযোদ্ধা ১৬’শ ৩১ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহত ১৫৬ জন। এ রণাঙ্গনে শহীদ হয়েছেন ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ জেলায় দু’জন বীর প্রতীকও রয়েছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্থানী বাহিনীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার এসব সূর্য সন্তানদের সাহসী মোকাবেলা চুয়াডাঙ্গাকে করেছে মহিমান্বিত। এ কারনে জাতীয় গৌরবের প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গা জেলার নন্দিত অবস্থান ইতিহাসে স্বীকৃত। এ দিনটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রথম রাজধানী হিসেবে নির্ধারিত হয় চুয়াডাঙ্গা। তারিখও নির্ধারিত হয় এপ্রিলের ১০। খবরটি আগেভাগেই জানাজানি হয়ে যাওয়ার ফলে কৌশলগত কারনে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায় প্রথম রাজধানী হয় এবং প্রবাসী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।