1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা আমার দেশ পত্রিকার (সম্পাদক) মাহমুদুর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল ডুমুরিয়া-ফুলতলার প্রান্তিক মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন এবং সাম্যের এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় – লবী ইসলামী ছাত্র আন্দোলন খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত দিঘলিয়ায় সাংবাদিক এস এম শামীমের সুস্থতা কামনায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার, কয়রায় বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ রূপসায় অরবিন্দ মন্ডল বুলু স্মৃতি টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ড খেলায় তেরখাদা ফুটবল একাদশ বিজয়ী পিরিতের টানে খুলনায় এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের পক্ষ থেকে উপহার বিতরণ লোহাগড়ায় শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় পবিত্র আশুরা পালিত দিঘলিয়ার গাজীরহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সির অপসরণের দাবিতে অভিযোগ দায়ের পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে-আমিরুল কাগজী মোংলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের মতবিনিময় নির্বাচিত হলে “ফুলতলা ডুমুরিয়া” বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে আমার প্রধান কাজ : লবী আজ পবিত্র আশুরা:আমাদের করণীয় ও বর্জনীয় যশোরে এসিড হামলার শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান যশোরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকার: অভিযুক্ত শিক্ষক রনি গ্রেপ্তার আদালতে স্বীকারোক্তি নড়াইলে বিএনপি নেতা মনিরুলের নির্বাচনী গনসংযোগ লোহাগড়ায় মাদক কিনতে নিষেধ করায় খুরের আঘাতে যুবক গুরুতর আহত

আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩১০ বার শেয়ার হয়েছে

খুলনার খবর // আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জন করেছিল বিজয়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের পর বাংলার মুক্তিকামী মানুষ এই দিনটিতে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চেতনা পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের এই দিনে। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ আর সীমাহীন কষ্টের প্রহর কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

সমগ্র জাতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে সেই সব শহীদকে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। স্মরণ করবে সেই সব বীর সেনানীকে যারা শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানাবে পুরো জাতি।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বুটের তলায় স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে বর্বর এক অপারেশনে নামে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। আলোচনার টেবিলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ ছেড়ে তারা বন্দুকের নল আর কামানের গোলা বেছে নেয় সমাধানের উপায় হিসেবে। যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় পুরো জাতির ওপর। শুরু হয় মুক্তির লড়াই, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ।

ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা বিদায় নেয়ার পর নতুন রূপে এ জাতির ওপর শোষক হিসেবে আবির্ভূত হয় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণী। যে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ একদিন পশ্চিম পাকিস্তানিদের সাথে আন্দোলন করে একটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকেই আবার অস্ত্র ধরতে হয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হঠকারিতা, অদূরদর্শিতা এবং অবিমৃষ্যকারিতার কারণে দুই অঞ্চলের মধ্যে তৈরি হয় বিভেদরেখা এবং বৈষম্যের বেড়াজাল। পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর অবহেলা চরম আকার ধারণ করলে প্রতিবাদে ক্রমে অগ্নিগর্ভ হতে থাকে এ অঞ্চল। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে উল্টো তাদেরকে বুটের তলায় পিষ্ট করার নীতি গ্রহণ করে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভকারী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে টালবাহনা শুরু করে শাসকগোষ্ঠী।

ফলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম’, ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহাকে প্রবল করে তোলে। তখন পাকিস্তানি শাসকচক্র আমাদের মুক্তির স্পৃহাকে দমনের পথ বেছে নেয়। তারা নিরস্ত্র মানুষ হত্যার মাধ্যমে জন্ম দেয় ২৫ মার্চের কালরাত্রি। এরপরই চূড়ান্ত হয়ে যায় আমাদের পৃথক পথচলা। ওদের সাথে আর নয়। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় চূড়ান্ত লড়াই। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তি সংগ্রামের পর পরাজয় মেনে নেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৯১ হাজার ৪৯৮ জন নিয়মিত-অনিয়মিত এবং আধা সামরিক পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পণ করেন সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে। শুরু হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পথচলা। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।

আজ সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহকে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ও অন্যান্য রেডিও টেলিভিশনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।