পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // যশোরের কেশবপুরের কৃষকরা বোরোধান আবাদে ঝুকে পড়েছে। আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা আগেভাগে মাঠে মাঠে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আবাদের লক্ষমাত্রা নির্দ্ধারণ হয়েছে ১৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। আগাম বীজতলা দিয়েছে প্রায় ৬’শ হেক্টর জমিতে। বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপনের আদর্শ সময় হলো ১৫ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই জানুয়ারী (পৌষ মাস), তবে ৩১শে জানুয়ারীর পর প্রতিদিন বিলম্বে চারা রোপণের জন্য হেক্টর প্রতি ৫০-৬০ কেজি ধান কম হতে পারে। তাই তারা সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকে চারা রোপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে গত আমন চাষের মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়নি। সেচ দিয়ে আমন ধানের আবাদ করলেও কম বৃষ্টির কারণে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আসন্ন বোরোধান মৌসুমে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কেশবপুরের কৃষক আগে-ভাগে বোরোধানের আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

সুত্র জানায়, কেশবপুর উপজেলার ৭ নং পাঁজিয়া ও ৮ নং সুফলাকাটী ইউনিয়নের দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় পড়ে থাকা অনাবাদি জমি চলতি বছর বোরো মৌসুমে চাষের আওতায় আসায় বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। গতবছর অর্জিত হয়েছিল ১৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। বোরে আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে কেশবপুরের কৃষকরা আগে-ভাগে বীজতলা প্রস্তুত করেছে প্রায় ৬’শ হেক্টর জমি। কেশবপুর উপজেলার প্রতাপপুর, বাগদহা, আটন্ডা, দেউলী, চিংড়া ও সরসকাটিসহ বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক ভাবে ৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা সরিষা কেটে এই সকল জমিতে বোরো ধান লাগাবেন এবং বোরে ধানের আবাদ আরও বাড়তে পারে বলে জানান।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবীদ ঋতুরাজ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, কেশবপুর উপজেলায় গত বর্ষামৌসুমে অনাবৃষ্টির ফলে আমনধানের ফলন ভালো না হলেও ধান যা হয়েছে কৃষক তার নায্য মূল্য পেয়েছে যার কারণে কেশবপুর উপজেলার কৃষক সমাজ বোরোধান আবাদের প্রতি ঝুকে পড়েছে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কেশবপুরের কৃষক বোরোধান আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করতে ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে।