পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর // দক্ষিন-পশ্চিাাঞ্চলের সবজি খ্যাত যশোরের কেশবপুরে গত কয়েক দিন ধরে সবজির দাম ব্যাপক কমেছে। প্রায় প্রতিদিনই কমছে সবজির দাম। এ কারনে সবজি উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকের। অতিকষ্টে উৎপাদন করা সবজির ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
সরেজমিনে রবিবার (১ জানুয়ারী) কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, জমিতে চাষ করা টাটকা সবজি বিক্রি করতে এসে সস্তায় বিক্রি করতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছে কেশবপুরসহ পর্শ্ববর্তি মনিরামপুর উপজেলার দক্ষিন-পশ্চিাাঞ্চলের কৃষকরা। প্রতিটা আড়ৎ এ রয়েছে সবজি আর সবজি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সবজি গন্তব্যে নিতে ব্যাটারি চালিত ভ্যান, নসিমন, করিমন ও আলম সাধু নিয়ে এসেছেন এ বাজারে। এখানে বাধা কপি প্রতি পিচ ৫ থেকে ৬ টাকা, বেগুন ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, সিম ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি, কাচ কলা ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি, ফুলকপি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি, ওলকপি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি, লাল শাক ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি, সবুজ শাক ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজি, লাউ ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা পিচ, পেঁয়াজের কালি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। অতিকষ্টে উৎপাদন করা সবজি এ দামে বিক্রি করতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।
কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজারে বেগুন বিক্রি করতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কৃষক জানান, বেগুন ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দামে সবজি বিক্রি করে হাটে আনতে ভ্যান ভাড়া এবং জমি থেকে বেগুন উঠানোর খরচ উঠছে না। তারপরও খাজনা দিতে হচ্ছে কেজিতে ১ টাকা।
উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের সবজি চাষি শাহজাহান বলেন, তিনি ওলকপি চাষ করেছেন। দাম না থাকায় উঠানোর খরচ না ওঠার ভয়ে আগামীতে আড়ৎ এ আনতে সাহস পাচ্ছেন না।
পৌর এলাকার সরফাবাদ গ্রামের জব্বার মোড়ল জানান, তিনি কেশবপুর পাইকারি কাচা বাজারে ৩টাকা কেজি দরে ফুল কপি বিক্রি করেছেন। সবজির দাম না থাকায় উঠানোর খরচ না ওঠার ভয়ে আড়ৎ-এ আনতে সাহস পাচ্ছেন না তিনি।
কেশবপুর পাইকারী কাচা বাজারের সবজির আড়ৎ মেসার্স ভাই ভাই বাণিজ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান বলেন, কেশবপুর পাইকাহরী কাচা বাজারে সবমিলে প্রতিদিন ৬শ মণ সবজি বিক্রিয় হয়। কেশবপুর খুচরা কাচা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের এক হাজারেরও অধিক খুচরা বিক্রেতারা এ কাচা বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে। তিনি আরো বলেন, গত বছর সবজির প্রচুর দাম ছিল। এ কারনে এলাকায় সবজির ব্যাপক চাষ হয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।