খুলনার খবর // সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সেখান থেকে বিপদের মুখে পড়েন একটি মেয়ে (১৯)। আবার ফেসবুকে সক্রিয় একটি গ্রুপই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।এমন ঘটনার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে যাকে তিনি একজন বিড়াল ব্যবসায়ী নাম তার ইমু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির এক বান্ধবী জানান, মেয়েটি যার ওপর নির্ভর করেছিলেন, তাঁর নাম ইমু। তিনি খুলনার আযমখান কমার্স কলেজে পড়েন এবং ফেসবুক পেজ পেট বিড়ালের মাধ্যমে অনলাইনে বিড়াল বিক্রি করেন। ইমুর সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ইমু তাঁকে খুলনায় আসতে প্ররোচিত করেন। এবার মেয়েটি ১৬ জানুয়ারি বাসা থেকে খুলনার উদ্দেশে বের হন। ১৯ জানুয়ারি তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ইমুর পুরো নাম শেখ ইমু। তাঁর বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়ায়। পড়াশোনার জন্য ইমু খুলনা মহানগরীর দিলখোলা রোডে থাকেন। ইমু ও তাঁর বন্ধু শাহরিয়ার এই অনলাইন ব্যবসা চালান।
যোগাযোগ করা হলে শেখ ইমু স্বীকার করেন, সাত মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি আগেও খুলনায় এসেছেন। কিন্তু মেয়েটির আগে বিয়ে হয়েছে জানতে পেরে তিনি সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন। এবার মেয়েটি যে খুলনায় এসেছিলেন, তা তিনি জানতেন না বলে দাবি করেন।
ইমু সম্পর্কে তাঁর বন্ধু শাহরিয়ার দাবি করেন, ইমু ও মেয়েটির সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। দিলখোলা এলাকার সবাই ইমুকে চেনেন না। সমবয়সী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইমু অনলাইনে বিড়াল বিক্রির কথা বলতেন। এটি খুব ভালো ব্যবসা বলে গল্প করতেন। তাঁর চলাফেরার মধ্যে এক ধরনের উগ্রতা ছিল।
মেয়েটির খুলনায় আসা ও উদ্ধারের ব্যাপারে ইমুর পরিবারের সদস্যরা কোনো কথা বলতে চায়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।