সফিকুল গাজী,খুলনা // ভরা মৌসুমেও খুলনাঞ্চলে চালের দাম চড়া। ফসল কৃষকের হাত থেকে সিন্ডিকেটের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। এর কারণে কৃষক ও ভোক্তা কেউ লাভবান হচ্ছে না। ধানের সঙ্গে চালের দামের পার্থক্য অনেক বেশি।
খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চাল কিনতে অনেক কষ্ট হয়। দিন দিন চালের দাম বাড়ছেই। যে রকম দিনকাল আসছে না খাইয়ে মরতে হবে।
সাচিবুনিয়া বাজারে চাল কিনতে আসা ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি এটা একমাত্র ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট। এজন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী। সরকারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে যদি চাল বাজারজাত করা যায় তাহলেই বাজারে চালের দাম জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকবে।
দিনমজুর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য, আমি সারাদিন দিনমজুর খেটে সংসার চালাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করি। পানি বাদে সবকিছু কিনতে হয়। ৩ কেজি চাল কেনার পর অল্প কিছু টাকা থাকে,সেই টাকা দিয়ে বাজার হয় না। কোনোভাবে সংসার চালাতে হচ্ছে।
বড় বাজারের মুরাদ ট্রেডার্সের ম্যানেজার জিয়াউল হক মিলন বলেন, প্রতিবছর এ সময় চালের দাম কমে। কিন্তু এবার চালের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মুষ্টিমেয় কয়েকটি রাইস মিল মালিক ও মজুতদার দায়ী বলে মনে করছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়াতে কষ্ট বেড়েছে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের। এখন ভর মৌসুমে চালের দাম সবচেয়ে কম থাকার কথা। কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা চাল মজুত করে রাখছে। যে কারণে চালের দাম কমছে না। চালের দামের লাগাম টানতে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তিনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।