শরিফুল ইসলাম || বিএনপির সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছিলেন সকাল থেকেই। আজ সকালে খুলনা নগরে কে ডি ঘোষ রোডের কেসিসি মার্কেট এলাকায় ছিলো এক উৎসবের আমেজ।খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে নেতা কর্মীরা এসেছেন স্বতঃফূর্ত ভাবে।বেলা ১১টার মধ্যেই নগরীর কে,ডি ঘোষ রোড এলাকা কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায়।

জেলা ও উপজেলা থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা ছোট বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল উজ্জীবিত রাখা হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মঞ্চে অবস্থান করছেন।

নগরের কে ডি ঘোষ রোডের কেসিসি মার্কেট ও জেলা পরিষদ ভবনের সামনের রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে সমাবেশ মঞ্চ। বিভাগের ১০টি জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সমাবেশের মঞ্চে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) খুলনা বিভাগের শিল্পীরা তাঁদের পরিবেশনা শুরু করেন। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে পরিবেশনা শুরু হয়। এরপর কোরআন তেলোয়াত করা পর থেকে শুরু হয় দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনা।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম বলেন, সমাবেশে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। দুপুরের আগেই সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকা কানায় কানায় ভরে যাবে। আজকের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে। অনেক সাধারণ লোকজনও বিএনপির সমাবেশে অংশ নেবেন প্রতিবাদ জানাতে।

খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, সহতথ্য সম্পাদক আমিরুজ্জামান খানসহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস।এ ছাড়া বিভাগের ১০টি জেলার বিএনপির শীর্ষ নেতারা সমাবেশে বক্তৃতা করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম।

এসময় বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘উসকানিমূলক পাল্টা’ কর্মসূচির প্রতিবাদে, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।