1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন বাগেরহাটে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক-২ অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে যা বল‌লেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি‌নি‌ধি রাতুল কেশবপুর কৃষক দলের সাথে কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ-এর মতবিনিময় বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল কেশবপুরে কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক;রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ কেশবপুরে জলাবদ্ধ ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ আওয়ামী শাসনামলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে- শেখ নাসির উদ্দিন বটিয়াঘাটায় একসঙ্গে ৩৩ জনের জামায়াত ইসলামীতে যোগদান ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না- মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভয়নগরে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন খুলনায় ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী পালন নওগাঁয় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মাটির ঘর ধ্বসে দিশেহারা সহিলের পরিবার জমির বিরোধে মা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন মোবাইল চোরকে অসুবিধায় ফেলতে গুগল নিয়ে আসছে নতুন ফিচার কেশবপুরে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার সাংবাদিককে না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর বাগেরহাটে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র

যশোরের কেশবপুরে মোগল সম্রাজ্যের সাক্ষী মির্জানগর হাম্মামখানা

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২১৯ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || যশোরের কেশবপুরে পার্যটকদের দর্শনীয় স্থান মোগল সম্রাজ্যের ইতিহাস, মির্জানগর জমিদার বাড়ি ও হাম্মামখানা অযত্নে তার সোন্দর্য হারাতে বসেছে। যশোর শহর থেকে ৩৫ কি. মি. কেশবপুর উপজেলা সদর। আর কেশবপুর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর মিলনস্থল ত্রিমোহিনীর মীর্জানগর নামক স্থানে অবস্থিত। ত্রিমোহীনী-কেশবপুর রাস্তার পার্শ্বে মীর্জানগরের নবাববাড়ি এখন ভগ্নস্তুপ বিশেষ। হাম্মাম শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে এসেছে। এর অর্থ মানুষের গোসলের স্থান। মুসলিম দুনিয়ার এক সময়ের অতি পরিচিত শব্দ হাম্মাম।

রাজা-বাদশাহ ও প্রভাবশালীরা রাজ প্রাসাদ ও অন্যান্য প্রাসাদের কাছাকাছি সুবিশাল হাম্মামখানা তৈরি করত। হাম্মামখানায় নারী-পুরুষের পৃথকভাবে গোসল করার ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি থাকত গোসলের উপযোগী গরম ও ঠান্ডা পানি সরবরাহের বিশেষ ব্যবস্থা। থাকত বিশ্রামাগার ঠান্ডা ও গরম পানির পৃথক কক্ষ, ঝরনা, টয়লেট, শরীর শুকানোর কক্ষ, সাজসজ্জার কক্ষ এবং প্রার্থনার কক্ষ প্রভৃতি।

মোঘল সম্রাট আকবরের সময় (১৬৩৯-৬৩) শাহ সুজা বঙ্গের সুবেদার নিযুক্ত হন। শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মির্জা সফসিকান ১৬৪৯ খৃষ্টাব্দে যশোরের (ঈশ্বরপুরের) ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিমোহিনী নামক স্থানে বসবাস করতেন। তার নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয় মীর্জানগর।

তিনি বুড়িভদ্রা নদীর দক্ষিণ পাড়ে কিল্লাবাড়ি স্থাপন করে সেখানে বসবাস করতেন। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি কুপ সমেত হাম্মামখানাটি মোগল স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়। স্থাপনাটি ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট। এর পশ্চিম দিকে পরপর দু’টি কক্ষ। পূর্ব দিকের কক্ষ দু’টি উচু চৌবাচ্চা হিসাবে ব্যবহার করা হত। এর জানালাগুলো এমন উঁচু করে তৈরি যাতে এর ভিতরে অবস্থাকালে বাইরে থেকে শরীরের নিম্নাংশ দেখা যায় না। পূর্বপার্শ্বে দেয়াল বেষ্টনীর ভেতর রয়েছে ৯ ফুট ব্যাসের ইটের নির্মিত সুগভীর কূপ। সে কূপ হতে পানি টেনে তুলে এর ছাদের দু’টি চৌবাচ্চায় জমা করে রৌদ্রে গরম করে দেয়াল অভ্যন্তরে গ্রথিত পোড়ামাটির নলের মাধ্যমে স্নান কক্ষে সরবরাহ করা হতো। স্থাপনাটির দক্ষিণ পার্শ্বে একটি চৌবাচ্চা এবং একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যা তোষাখানা ছিল বলে অনুমিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে এবং সংস্কার করে। যশোরের কেশবপুরের মীর্জানগর হাম্মামখানায় দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। আজও বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক ও ভ্রমণ বিলাসী মানুষ ছুটে আসেন তার হাম্মখানা দেখতে এবং পোড়ামাটির গন্ধ নিতে।

প্রাচীনকাল থেকে যশোরের রাজা-বাদশাহ ওলি- আউলিয়া ও ধর্ম প্রচারকগণ নিরিবিলি আশ্রয়স্থল হিসেবে যশোরের জঙ্গলাকীর্ণ এলাকাসমূহকে বেছে নিয়েছিলেন। কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদী অববাহিকার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রাম এমন একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্থান। শুধু মির্জানগর নয় পুরো ত্রিমোহিনী জুড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষ। মির্জানগর গ্রামটি বাংলাদেশের অন্যান্য অজপাড়া গ্রামগুলোর মত একটি। গাছ গাছালিতে ভরা গ্রামটি দেখে কেউ মনে করবে না এটি একটি ঐতিহাসিক গ্রাম। কিন্তু এটিই সত্য যে মির্জানগর ছিল মোঘল সাম্রাজ্যের ফৌজদারি রাজধানীগুলোর অন্যতম। যেখানে মোগল সম্রাজ্যের সাক্ষী মির্জানগর হাম্মামখানা।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।