পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || ভোগান্তি এড়াতে কেশবপুর সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থান্তরের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা । পৌর শহরের ত্রিমোহিনী মোড় সংলগ্ন কেশবপুর সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। ব্যস্ততম যায়গা হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে এ এলাকায়।
পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় সেবা নিতে এসে সাইকেল, মোটর সাইকেল রাখা ও চুরির আতঙ্ক নিয়ে ব্যাংকে যেতে হয় এমনটাই জানালেন গ্রাহকরা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ ব্যাংকের সেবার মান অক্ষুণ্ণ রেখে গ্রাহক অনুসারে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। স্থান সংকুলান হওয়ায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরকালীন ভাতা প্রদান,সরকারি-বেসরকারি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহন,সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম,হজ্জ্ব ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আপামর জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে এ ব্যাংকটি।
এসব সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ কেশবপুর সোনালী বাংকে আসেন। পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা তাদেরকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। গত ১ বছরে প্রায় ১০ গ্রাহকের সাইকেল-মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে।একাধিক গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংকের কেশবপুর শাখায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা চালুর দাবি করেন।
সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক আবু হাসান রুমি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠাতে সোনালী ব্যাকে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় মোটর সাইকেল রাখা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রাহকের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে এমন স্থানে ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের দাবি করেন তিনি।অপর গ্রাহক আব্দুল করিম বলেন, এমন কিছু সরকারি সেবা রয়েছে যেটা নিতে সোনালী ব্যাংকে আসতেই হয় চাইলেও অন্য ব্যাংকে যেতে পারছিনা। পর্যান্ত পার্কিং না থাকার নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও কর্তৃপক্ষ গ্রাগকদের সমস্যা নজরে আনছেন না। গ্রাহকের ভোগান্তির কথা ভেবে তিনি ব্যাংকের শাখা পর্যান্ত পার্কিং রয়েছে এমন স্থানে নিয়ে যাবার দাবি করেন। ব্যবসায়ী আবু হাসান রনি, আবুল কালাম আজাদ,শহিদুল ইসলামসহ শতাধিক গ্রাহক এই ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন,গলির মধ্যে গ্রাহকের সাইকেল ও মোটর সাইকেল রাখার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হলেও রয়েছে। স্থান সংকুলান হওয়ায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করা অসম্বব হয়ে যাচ্ছে। এ শাখাটি কেশবপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় অন্য কোথাও শাখা স্থানান্তর করা কঠিন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।