1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
উপজেলা খেলাঘর আসর কেশবপুর কতৃক আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান-১৪৩১ নাভারণ ডিগ্রী কলেজের নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুকনগরে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পুনর্মিলনী-২০২৪ পাইকগাছার কপিলমুনিতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে র‍্যালী পান্তা আসর  বটিয়াঘাটা উপজেলায় নানা আয়োজনে বর্ষবরণ উদযাপিত রামপালে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন মোংলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাগেরহাটে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ লোহাগড়ায় মধুমতি নদী থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি; অতিষ্ঠ শার্শার ব্যবসায়ীরা, থানায় অভিযোগ বাগেরহাটে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কাঁসা-পিতলের তৈরি তৈজসপত্র পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ খুলনায় ঈদের প্রধান জামায়াতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে কেএমপি কমিশনার রূপসা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ পাইকগাছার প্রায় চারশত মুসল্লীকে জায়নামাজ উপহার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি,ঈদ বৃহস্পতিবার পাইকগাছায় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এমপি রশীদুজ্জামান ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে কোস্ট গার্ডের সচেতনতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে টহল প্রদান শার্শায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক কণ্যা সোহাগী ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল চাঁদ দেখা কমিটির সভা

নড়াইলে বাঁশের সাঁকোই পারাপারের শেষ ভরসা

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ১১৭ বার শেয়ার হয়েছে

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি || নড়াইল সদরের সরশপুর এলাকায় মানুষের পারাপারের শেষ ভরসা চিত্রা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো।৫২ বছর ধরে একটি পাকা সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এখানকার চার ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। বর্ষা এলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার।

স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায়ও পোহাতে হয় দুর্ভোগ। বছরের পর বছর ধরে একটি ব্রিজের অপেক্ষায় এলাকবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মরা চিত্রা নামের এ খালের উৎপত্তি মাগুরার শালিখা উপজেলার গড়েরহাট মোড়ে কাজলা নদী থেকে। পরে সেটি নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ও শাহাবাদ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেখান থেকে চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের রতডাঙ্গা ত্রিমোহনীতে গিয়ে চিত্রা নদীতে মিশেছে এ মরা চিত্রা। এই খালের ওপর প্রায় ১০ ফুট পরপর দুটি করে বাঁশের খুঁটি। এমন ১৮ খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাঁশের সাঁকোটি। ধরার জন্য আড়াআড়িভাবে দুই পাশে দুটি বাঁশ বেঁধে রাখা হয়েছে।

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের সরশপুর এলাকায় এই খালের দুই পাড়ে রয়েছে মাইজপাড়া ইউনিয়নের ছয়টি এবং শাহাবাদ ইউনিয়নের আটটি গ্রাম। রয়েছে মাইজপাড়া, সরশপুর, শাহাবাদ ও ধোন্দার মোড়ে চারটি হাটবাজার, একটি কলেজ, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে।

যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী নিজেরাই সাঁকোটি তৈরি করেছেন বলে জানালেন খালের পশ্চিম পাড়ের চরবিলা গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব মোল্যা। এসময় আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, কত নেতারে বল্লাম। কতবার চেয়ারম্যানদের বলছি। এখানে একটা পাকা সেতু বানিয়ে দিলে আমাদের কষ্ট কমে যায়। তারা শুধু বলে দেখতিছি। বুঝার পর থেকে ৫২ বছর শুধু শুনেই গেলাম কিন্তু ব্রিজ আর হলো না।

দুই পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,দেশ স্বাধীনের পর এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলাচল করছেন। এ সময়ে খালের দুই পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের অনেক ছোঁয়া লেগেছে। বদলে গেছে এলাকার চিত্র। বদলায়নি কেবল বাঁশের সাঁকোটি।
স্থানীয়রা জানায়,নড়বড়ে এই সাঁকো পার হতে অনেক সময়ই শিশুরা পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়। স্কুলগামী শিশুদের কথা বিবেচনা করে হলেও খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি তাদের।এই খালের পূর্ব পাড়ে সরশপুর এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী তাওসিফ নুর আয়ান জানায়, তার বাড়ি খালের পশ্চিম পাড়ের আড়ংগাছা গ্রামে। স্কুলে আসার সময় সাঁকো পার হতে ভয় লাগে।
নড়াইলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহির মেহেদী হাসান বলেন, ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম মোল্যা এবং শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এখানে সেতু নির্মাণে তাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। এতে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেতু নির্মাণের মতো বরাদ্দ তাদের নেই। এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবী স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।