পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের পাঁজিয়া বিপ্রতীপ সাহিত্য কাগজের আয়োজনে বাংলা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি ও গবেষক সন্দীপ দত্ত-এর সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিপ্রতীপ সাহিত্য কাগজের সম্পাদক নয়ন বিশ্বাস। কবির স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
পাঁজিয়া বিপ্রতীপ কার্যালয়ে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব সমীর দাসের সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পাঁজিয়া আবহমান এর সম্পাদক জনাব রিয়াজ লিটনের সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক হিসাবে আলচনা করেন, মধুসূদন গবেষক ও বিপ্রতীপ সাহিত্য সংগঠনের আজীবন সদস্য খসরু পারভেজ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, কবি অনুপম ইসলাম, সোহার্দ সিরাজ, নিশিকান্ত বন্দোপাধ্যায়, পাঁজিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক বাবুরালী গোলদার, সমাজ কর্মী ও কবি মাসুদা বেগম বিউটি, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, লিটল ম্যাগাজিন পাঠচক্রের সদস্য ও পাঁজিয়া বইমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান জয়, শিক্ষক ও কবি তৃষা চামেলি, কবি ও সাহিত্যিক পার্থসারথী সরকার, কবি মানব মণ্ডল, রাজ কুমার সরকার, আমিনুর রহমান বুলবুল প্রমূখ।
সন্দীপ দত্ত-র সংক্ষিপ্ত জীবন ও উদ্যোগপঞ্জির কিছু অংশ তুলে ধরা হলো~ তিনি ১৯৫১ সালে ২৪ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯৬৬ সালে পাড়ায় ‘বর্তিকা’ প্রাচীর পত্রিকা বের করেন। কালীপুজোর স্যুভেনিরে প্রথম মুদ্রিত কবিতা “একা”। ১৯৬৭ সালে স্কুল ম্যাগাজিনে প্রথম মুদ্রিত গল্প ‘যে গল্প শেষ হল না’। ১৯৬৯ সালে সেন্ট পলস্ স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৭১ সালে ‘পত্রপুট’ পত্রিকা শুরু। ১৯৭২ সালের মে মাসে জাতীয় গ্রন্থাগারে লিটল ম্যাগাজিন পড়তে গিয়ে অব্যবস্থার অভিজ্ঞতা। জুলাই ২৩-২৭ তারিখ পর্যন্ত বাড়ীর নীচতলায় সংগৃহীত লিটল ম্যাগাজিনের প্রদর্শনী। একই সালে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৭৪ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কোলাজ’। ১৯৭৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় এম. এ পাশ করেন। ১৯৭৭ সালে ‘লোকসেবক’পত্রিকায় ইন্দিরা প্রশাসনে ভারতীয় সংস্কৃতি নিগ্রহের ইতিহাস’শীর্ষক প্রথম তথ্যপঞ্জি প্রকাশ (জুলাই ২৩-২৭)। ১৯৭৮ সালে জুন ২৩ বাংলা সাময়িকপত্র পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র নামে যাত্রা শুরু।১৯৭৯ সালের জানুয়ারী মাসে ‘পত্রপুট’ নামে কলকাতা বইমেলায় টেবিল নেওয়া শুরু।মে মাসের ৮ তারিখ পাঠাগার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হল। অক্টোবর মাসের ২ তারিখে পিতার মৃত্যু। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি ১৮ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পিতা: গোলক চন্দ্র দত্ত। মাতা: অঞ্জলি দ্ত্ত প্রয়াত হয়েছেন। পিতা-মাতা হারা সন্দীপ দত্ত সম্প্রতি ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী-মীরা দত্ত ও একমাত্র পুত্র মনসৃজ বেঁচে আছেন।বাংলা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি ও গবেষক সন্দীপ দত্ত-এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন।