সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিবেদক || খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়ের দিনমজুর রফিকের স্ত্রী গৃহবধূ মুন্নী দীর্ঘ দেড় মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে। গত ২ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। প্রসঙ্গত খুলনার ডুমুরিয়ায় নার্গিস ক্লিনিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অপারেশন হয় অপারেশনের পর থেকেই মুন্নী অসুস্থ হতে থাকে। ঐ সময় অভিযোগ উঠে ক্লিনিক মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় ও ভুল চিকিৎসায় মুন্নীর অবস্থা সংকটাপন্ন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ঐ সময়ের পত্রিকার তথ্য অনুযায়ি জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্নী বেগম এ্যাপানটিস অপারেশনের জন্য ডুমুরিয়া নার্গিস ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তম এসে রোগি দেখে ঐ দিন অপারেশন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিক নার্গিস বেগম ও ক্লিনিকের ম্যানেজার গোলনা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মহাসিন খানের পিড়াপিড়িতে ডাক্তার অপারেশন করেন। পরবর্তীতে অপারেশনের স্থানে আস্তে আস্তে পচন ধরতে থাকে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বেশকিছুদিন রেখে একটু পচন কমলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে পচনের মাত্রা বেড়ে যায়। ১০ মার্চ শুক্রবার রোগির প্রচন্ড খিচুনি হয় পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। নিরুপায় হয়ে রোগির স্বজনরা তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১১ মার্চ শনিবার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ইউনিটে যেয়ে দেখা যায় মুন্নী বেগমের খিচুনী অব্যাহত রয়েছে। পরে তাকে ফুলবাড়ি গেট মিরেরডাঙ্গা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দীর্ঘদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তারিখে তাকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের লায়ন্স আই এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ২ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় মৃত্যুবরণ করেন গৃহবধু মুন্নী। মুন্নীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে যেয়ে দিনমজুর রফিক একদিকে সবকিছু হারিয়ে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সকল প্রকার চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ায় এখন তিনি নির্বিকার। মুন্নীর ৭ বছরের অবুধ শিশু রয়েছে। নিহত মুন্নির স্বামী রফিক বলেন, আমার স্ত্রী মুন্নিকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে নার্গিস ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ হত্যা করেছে,আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকান্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবি করছি। এই বিষয়ে ক্লিনিক মালিক নার্গিস বেগম ও ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ মহাসিন খানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা যথা সময়ে ঠিকভাবে রোগীর অপারেশন করেছি রোগীর সুস্থ হলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তীতে রোগী অসুস্থ হয়েছে কিনা সেটা বলতে পারবো না। পরবর্তীতে রোগীর অসুস্থতার বিষয়ে আমাদের সাথে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।