কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গৃহবধূর নাম মোছা. মৌসুমী খাতুন (২৯) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।তিনি ওই এলাকার কাতার প্রবাসী মো. মাসুদ হোসেনের (৩২) স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের সদকী রায়পাড়া এলাকার প্রবাসী স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তবে মৃত গৃহবধূর বাড়ির লোকদের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ স্বামী বাড়ির লোকজন মৌসুমীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে।
নিহতের পরিবার আরো জানায়, নিহতের জামাই বিদেশে যাওয়ার পর পুনরায় যৌতুকের টাকা দাবি করে। এনিয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। হঠাৎ ভোররাতে তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার দাবি, যৌতুকের টাকা না পেয়ে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মৃতের শ্বাশুড়ি বলেন, রাতে তার ছেলে ও বউয়ের ঝগড়া হয়েছিল। সেজন্য তার ছেলের বউ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।তবে ঘটনার পর থেকেই মৌসুমীর শ্বশুর,ভাসুর,ভাসুরের স্ত্রী ও ননদ পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি স্থানীয়রা আগেই নামিয়েছিল।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।গৃহবধূর গলায় দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা পরে জানানো যাবে।