খুলনার খবর || খুলনায় অটোরিকশাচালক মো. রাফি ইসলাম হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) নগরীর জিরোপয়েন্ট ও ময়লাপোতা ডালমিল মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- সাব্বির, সজীব, রহিম, স্বপন ও আরিফ শেখ।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে নগরীর লবণচরা থানাধীন ডেসটিনির পরিত্যক্ত মাঠ থেকে রাফি ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি মো. এনামুল হক বলেন, সোমবার গভীর রাতে লবনচরা এলাকা থেকে আরও ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্য ঘুরছিলেন সাব্বির, সজীব, রহিম ও স্বপন। এটা দেখে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তখন তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সম্প্রতি সময়ে লবণচরা এলাকায় ইজিবাইক চালক রাফি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীর ডালমিল এলাকা থেকে আরিফ শেখকেও গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর রাফির অটোরিকশাটি কয়েক অংশ করে বটিয়াঘাটা এলাকায় বিক্রি করে দেন তারা। অটোরিকশার ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাটারিটি বিক্রি করা হয় আরিফ শেখের কাছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন,গ্রেফতাররা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। রাত হলেই তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য রাস্তায় বের হন। সোমবার রাতে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য ইজিবাইকে চড়ে ঘুরছিলেন। ফাঁকা স্থান পেয়ে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতেন তারা। কিন্তু আমাদের পুলিশের তৎপরতার কারণে তাদের মিশন সফল হয়নি। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়ার পর ইজিবাইক ছিনতাই ও রাফি হত্যার জট খোলে। রাফি হত্যাকাণ্ডটি ছিল ক্লুলেস। হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই তারা পুলিশের কাছে ধরা দেন।
Leave a Reply