নিজস্ব প্রতিনিধি || খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের জেলা পরিষদের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সেই আলোচিত চুকনগরের ক্যাডার বাহিনীর প্রধান যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ভেরচি গ্রামের আতিয়ার রহমান ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা ফরহাদ হসেন (বাবু) (৩৪) বিরুদ্ধে।গতকাল ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১টায় দিকে এই ক্যাডার বাহিনীর প্রধান ফরহাদ হসেন বাবু পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় কিছুক্ষণ আগে জনশূন্য হওয়ায় জেলা পরিষদের জায়গায় থাকা শিরিচ,মহানিম,মেহগনি গাছ সহ দশ থেকে বারোটা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।যার আনুমানিক বাজারে মূল্য এক লক্ষ টাকা,এই বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান কিছুই জানেন না বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সকাল এগারোটার দিকে ফরহাদ হোসেন বাবুর নেতৃত্বে কয়েকজন চুকনগর বাজারের যতীন কাশেম রোডের উত্তর মাথায় নদী পর্যন্ত জেলা পরিষদের জায়গার কতগুলো ঘর আছে এগুলো সরোজমিনে পরিদর্শন করা সহ ঘর মালিকদের নাম ঠিকানা লিখিত ভাবে খাতা বন্দী করেন বাবু। জেলা পরিষদের ডাকবাংলা যাওয়ার প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বাবু বাহিনী।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসা করলে তার বাহিনীর লোকজন জানান জেলা পরিষদের জায়গায় নতুন করে ঘর নির্মান হবে। তার জন্য তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানান।,এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুকনগর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান জেলা পরিষদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করবে এটা আমরা জানতে পেরেছি, কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে কোনো কর্মকর্তাকে দেখলাম না। আজ শুক্রবার ছুটির দিন,এই বিষয়ে তালিকা তৈরী করছে বাবুর লোকজন, এখন পর্যন্ত ঘর ছাড়ার কোনো নোটিশ আমরা পাইনি।এই বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
গোপন সূত্রে জানা যায়,চুকনগর একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হাওয়াই প্রতিদিন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার মাদক ক্রয়-বিক্রয়,ভূমি দখল,ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহনসহ,অনেক দুর্নীতির কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সাবেক বিএনপি নেতা বাবু সহ তার বাহিনী।কিছুদিন আগেও এই ফরহাদ হোসেন বাবু বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।যশোর জেলা কেশবপুর উপজেলার ছাত্রদলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন নিজেকে।চুকনগর বাজারে জেলা পরিষদের ঘর নির্মাণ করার পরে তিনি আওয়ামী যুবলীগের নেতা বলে পরিচয় দিলে ও সবার কাছে সাবেক বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত এই বাবু।তাহার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকার জন্য আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করছেন মাত্র।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রশ্ন,ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন হয় না,অথচ দল পরিবর্তন করা সন্ত্রাসী এই হাইব্রিট নেতাদের মূল্যায়ন হয় কিভাবে?এই বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ফরহাদ হোসেন বাবুর কাছে এই বিষয়ে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জেলা পরিষদের যে তথ্য সংগ্রহ করেন জেলা পরিষদ আমাকে এই কাজের জন্য বলাই আমি সেটা করতেছি।গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়েই গাছ কর্তন করেছি।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শেখ হারুনুর রশীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি শুনেছি জেলা পরিষদের গাছ কর্তন করা হয়েছে,তবে আমি এই বিষয়ে এখন কোন কিছু বলতে পারব না।আমি রবিবার অফিসে গিয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারব।এই বিষয়ে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান কাছে জানতে চাইল তিনি কিছুই জানেন না বলে আমাদেরকে জানান। স্থানীয় জনসাধারন এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশায়।
Leave a Reply