1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নগরীর বর্মাশীল রোডে অগ্নিকাণ্ড ; ৫টি দোকান পুড়ে ছাই পাইকগাছায় অনুষ্ঠিত হলো ওয়াশ সিস্টেমস ফর হেলথ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা দিঘলিয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আাজিজুল বারী হেলালের আগমন উপলক্ষে বিএনপি’র প্রস্তুতি সভা ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কয়রায় জোর করে দোকান ঘর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে নড়াইল জেলা ব্লাড ব্যাংকের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খুলনা জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগর এর উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ সাবেক ভূমি মন্ত্রীকে জেল হাজতে প্রেরন; উত্তেজিত জনতার ডিম নিক্ষেপ খুলনায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব খুলনায় ৮ পিস স্বর্ণের বারসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার কেসিসির জলাবদ্ধতার বাস্তবতা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কেসিসি নবনির্বাচিত কার্য-সহকারী পরিষদ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জিনারুল, সা:সম্পাদক ফয়জুল দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বেনাপোল কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল শুভ উদ্বোধনে হতে যাচ্ছে কাল স্বর্নের গহনার জন্য প্রান গেল অবুঝ শিশুর নিখোঁজের পর মিলল মরদেহ নড়াইলে ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার কেশবপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক সভা কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা বটিয়াঘাটা ইউপি মহিলা সদস্য রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে আবারো দুর্নীতির অভিযোগ খুলনা সরকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে; আহত ৭

নড়াইলে বাধা পেরিয়ে ছুটে চলছে স্কুল ছাত্রীরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬৯ বার শেয়ার হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন,নড়াইল প্রতিনিধি || সাইকেল চালিয়ে দলবেঁধে নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করছে শতাধিক ছাত্রী। এতে একদিকে সময় মতো শ্রেণিতে উপস্থিত হতে পারছে,অন্যদিকে অভিভাবকের বাড়তি খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে এলাকার বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং,নারী নির্যাতনসহ সমাজ থেকে সকল প্রকার কুসংস্কার দূর করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে ওরা। এ চিত্র নড়াইল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের।

১৯৮৩ সালে স্থাপিত গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনশত যার মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ১৪৩ জন। বিদ্যালয়টি নড়াইল সদর ও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এলাকাটি অনেকটা অবহেলিত এবং অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা। আশেপাশের প্রায় ১১টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৫/৭ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়মিত এই বিদ্যালয়ে আসতে হয়। ৪/৫ বছর আগে শুধু ছেলেরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করলেও মেয়েদের ভ্যানে ও পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হতো। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের যৌথ প্রয়াসে মেয়েদের সাইকেল কিনে দেওয়া হয়। চার বছর আগে প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাতায়াত শুরু করলেও ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে শতাধিক ছাত্রী নিয়মিত সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে এবং তাদের বান্ধবীদেরও সাইকেলের পেছনে বসিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে।বর্তমানে তাদের সাইকেল রাখার জন্য বিদ্যালয়ে রয়েছে গ্যারেজের ব্যবস্থা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝুমা গুপ্ত বলে,বাবার কাছ থেকেই সাইকেল চালোনা শিখেছে। সাইকেল চালানোর মাধ্যমে স্কুলে আসা যাওয়া অনেক সহজ হয়। আগে যখন সাইকেল ছিল না তখন যাতায়াতে অর্থ ও বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। কিন্তু সাইকেল চালানো শেখার পর সে অনেক সহজে স্কুলে আসতে পারে। হেঁটে আসার সময় রাস্তাঘাটে আগে ছেলেরা বিরক্ত করলেও এখন আর তারা সে সুযোগ পায় না। মেয়ে হয়ে সাইকেল চালানো নিয়ে কেউ মন্দ কথা বললে সেটাকে কানেই নেয় না এই শিক্ষার্থী।

নবম শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা সিংহ জানায়,সাইকেল চালানো নিয়ে প্রতিবেশীদের নানা কথা শুনতে হয়েছে। তবে অনন্যার বাবা-মা প্রতিবেশীদের কথা না শুনে মেয়েকে সমর্থন দিয়েছেন। সবক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসতে কোন বাঁধা মনে করেন না অনন্যা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মালো বলেন, ছেলে ও মেয়েদের সমানভাবে দেখা হয়। তাই সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসতে ছাত্রীদের এখন সময় কম লাগছে, অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে এবং নিয়মিত ও সময়মত শ্রেণিতে উপস্থিত হতে পারছে। মেয়েদের সাইকেল চালানোকে আগে অনেকেই আড়চোখে দেখলেও এখন সবাই পজিটিভ ভাবেই দেখছে। সারাদেশেই ছেলে-মেয়ে উভয়ের সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

নড়াইল জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মৌসুমি রাণী মজুমদার বলেন,প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েরা যে নিজেরা সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া করছে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাদের এই সাহসী মনোভাব পরবর্তীতে তাদের কর্মক্ষেত্রেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।