এস.এম.শামীম দিঘলিয়া || জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন,বাল্যবিবাহের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা,মাতৃমৃত্যুও ঝুঁকি,অপরিণত গর্ভধারণ,প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যুঝুঁকি,নারীশিক্ষার হার হ্রাস,স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি,নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়াসহ নানা রকম প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে নারীদের শিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই।এবং অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করা। ইতিমধ্যে সরকার বাল্যবিবাহ রোধে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন,মাদক,অনলাইন জুয়া ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।তিনি রবিবার পহেলা অক্টোবর ২০২৩ দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বাল্যবিবাহ ও যৌতুক নিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা,মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে দিঘলিয়া এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সচেতনতা মূলক সভায় জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খান নজরুল ইসলাম,দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল,অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম,দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম,সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ,মাস্টার রফিকুল ইসলাম সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক বৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদী হাসান।
সচেতনতা মূলক আলোচ্য অনুষ্ঠান শেষে বাল্যবিবাহ রোধ ও মাদকাসক্তের কুফল সম্পর্কে শেখ রাসেল দিয়ালিকা উদ্বোধন করেন। এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক যোগদান করেন।